১ আগস্ট, ২০২৩ ১৯:৪১

বকেয়ার দায় একা নিতে নারাজ রাবির সাবেক ছাত্র উপদেষ্টা নুর

রাবি প্রতিনিধি

বকেয়ার দায় একা নিতে নারাজ রাবির সাবেক ছাত্র উপদেষ্টা নুর

তারেক নুর

‘দায়িত্ব থাকাকালীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বকেয়ার দায় আমার একার নয়। সেটা অনুষ্ঠান পরিচালনা কমিটির উপরও বর্তায়। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি অনুষ্ঠান একটি কমিটির মাধ্যমে পরিচালনা হয়। সেটার আমি একজন সদস্য মাত্র। তাই উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাকে হেয় করতে এমন অপপ্রচার করছে প্রশাসনের একটি অংশ।’

মঙ্গলবার বিকেল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিরাজী ভবনে ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরে নামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বকেয়া প্রসঙ্গে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সাবেক ছাত্র উপদেষ্টা তারেক নুর। 

এর আগে গত মে মাসে রেজিস্ট্রার দপ্তরের পাঠানো এক চিঠিতে এম তারেক নুরকে দায়িত্বে থাকাকালে বিভিন্ন কাজে ১৩ লক্ষ ৮১ হাজার ৯৭০ টাকা সমন্বয় করার কথা বলা হয়। এছাড়া অনুষ্ঠান উপলক্ষে অগ্রিম টাকা গ্রহণ করেও যেসব প্রতিষ্ঠান বকেয়া আছে, সেটা দ্রুত পরিশোধ করতে চিঠিতে তারেক নুরকে নির্দেশ দেয়া হয়।  

এ প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে তারেক নুর বলেন, কোন প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়ার আগে ছাত্র উপদেষ্টার প্যাডে অর্থের যাবতীয় হিসাব থাকে। বকেয়া থাকলে সেটাও প্যাডে উল্লেখ থাকে। তাছাড়া বকেয়ার বিষয়টি কোন প্রতিষ্ঠান আমাকে জানায়নি। তারা ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরে জানালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গুটি কয়েক হিসাবসহ আমাকে চিঠি দিয়েছে। কিন্তু কোন খাতে কত টাকা খরচ ও বকেয়া রয়েছে চিঠিতে সেই তথ্য যুক্ত করেনি। তাছাড়া টাকা সন্বয় একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। কারণ অনেক অনুষ্ঠানে বরাদ্দ থেকে বেশি খরচ হয়। তখন সেটা সমন্বয় হয় না। সেটার জন্য তো আমি একা দায়ী না। বরং কমিটিও যুক্ত আছে। তাই  রেজিস্ট্রার দপ্তরের এমন চিঠি আমার বোধগম্য নয়। তবে আমি শিগগিরই এই চিঠির জবাব দেব।

সম্মেলনে অভিযোগ তুলে তারেক নুর বলেন, পদত্যাগের আগে প্রশাসন বিভিন্ন কাজে আমাকে সহযোগিতা করেনি। অকারণে ফাইল আটকে রাখত। কারণ বহিরাগতদের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা খরচ বিশ্ববিদ্যালয় বহন করবে একথা বলেছি, রাতে পুলিশ ছাত্রদের ওপর কার নির্দেশে গুলি করল সেটা মিডিয়ার সামনে জানতে চেয়েছি, কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তন ও ক্যাম্পাসে দোকান নির্মাণের কাজের প্রক্রিয়াগত অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন তোলায় প্রশাসনের কাছে অপ্রিয় হয়ে ওঠি। এসব কারণেই আমাকে পদত্যাগ করতে হয়। অথচ উপাচার্য নিজেই শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা খরচ বহনের কথা বলেছিলেন। এমনকি মিলনায়তনের টেন্ডারের ফাইল নিয়ে কাজ দেখবেন কোন মিল আছে কিনা। তবে এসব অভিযোগের সপক্ষে কোন প্রমাণ চাইলে সাংবাদিকদের সেটা দিতে সক্ষম হননি সাবেক এ ছাত্র উপদেষ্টা।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, কমিটির কাজ অনুষ্ঠান ঠিকমত সম্পন্ন হরো কিনা। কিন্তু অর্থ বরাদ্দ বা চেক ইস্যূ তো সদস্য সচিবের নামে। তাহলে তিনিই তো জানবেন কোন খাতে কত খরচ, কে কত পাবেন। নিয়ম অনুসারে তাকেই এই টাকার সমন্বয় করতে হবে। তাছাড়া অনিয়মের যতো অভিযোগ আছে, সেটার প্রমাণ দিক আমরা ব্যবস্থা নেব। কারণ আমরাও চাই সকল অনিয়ম-দুর্নীতির মূল উৎপাটন হোক। 

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর