শিরোনাম
১৪ আগস্ট, ২০২৩ ১৮:৪৬
ঢাবির মৈত্রী হলে সিট সংকট

উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলাদেশ কুয়েত-মৈত্রী হলের আসন সংকট নিরসনে তিন দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মত আন্দোলন করেছেন ছাত্রী হলটির শিক্ষার্থীরা। 

সোমবার দুপুর একটা থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেন তারা। 

আন্দোলনকারীরা বলছেন, উপাচার্য দাবি মেনে না নিলে সেখান থেকে যাবেন না তারা। সোমবার সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করছেন। 

শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে আছে, এক মাসের মধ্যে কুয়েত-মৈত্রী হলের ৩০০ আবাসিক ছাত্রীকে অন্য হলে স্থানান্তর করা, হলের আসন সংখ্যার সঙ্গে সমন্বয় রেখে শিক্ষার্থী সংযুক্তি দেওয়া এবং মূল ভবনের প্রতি কক্ষে ছয় জনের বেশি শিক্ষার্থী বরাদ্দ দিয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট না করা। 

এর আগে, রবিবার দুপুরে এসব দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের কাছে স্মারকলিপি দেয় হলটির শিক্ষার্থীরা। পরে এ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি আদায়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন। 

শিক্ষার্থী বলছেন, হলটির ২০১৯-২০ সেশনের ৩৫ জন শিক্ষার্থী এখনও অতিথি কক্ষে অবস্থান করছে। মেয়েদের অন্য হলগুলোতে আরও আগেই সিট পেলেও তারা চতুর্থ বর্ষে উঠেও এখনও বৈধ সিট পায়নি। এরপরের ব্যাচগুলোর সবাইকে এখনও সিট দেওয়া সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য ভর্তি হওয়া ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের হলটিতে সংযুক্ত করা হয়েছে। বিদ্যমান আসনের বিপরীতে আনুপাতিক হারে শিক্ষার্থী সংযুক্তি না করায় আসন সংকট আরও বাড়তে বলে আশঙ্কা শিক্ষার্থীদের। 

এদিকে, অবস্থান কর্মসূচিতে ‘মৈত্রী হলের অভিশাপ শেষ হোক’, ‘চতুর্থবর্ষ কি গণরুমেই অনার্স শেষ করবে?’, ‘বৈধ সিট আমার অধিকার’ প্রভৃতি লেখা পোস্টার প্রদর্শন করেন শিক্ষার্থীরা। 

এদিকে, অবস্থান কর্মসূচির খবর পেয়ে হলটির কয়েকজন আবাসিক শিক্ষক তাদের সাথে কথা বলতে আসেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, হল প্রশাসন থেকে তাদের দাবি মেনে নেয়া হয়েছে বলে শিক্ষকেরা জানিয়েছেন। তবে, এ ধরনের দাবি হল থেকে মেনে নিলে সমাধান হবে না। বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্ধ্বতন প্রশাসন থেকে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ চান তারা। 

বিষয়টি নিয়ে জানতে কুয়েত মৈত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নাজমুন নাহারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। 

এ ব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, গতকালও তারা আমার কাছে এসেছে। আমি তাদের কথা শুনেছি, হলে গিয়েছি। তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট কিছু কিছু পদক্ষেপের কথাও বলেছি। এখানে আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে। তাদের যেসব দাবি তা একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই সমাধান করতে হবে। সেটি শিক্ষার্থীদের বুঝতে হবে, তাদের দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। আমরা মাস্টার প্ল্যান গ্রহণ করেছি, যাতে এসব সমস্যা সমাধান করা যায়। 

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর