২৪ আগস্ট, ২০২৩ ১৭:৪২

১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে ঘাতক জিয়ার সৃষ্টি : নানক

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে ঘাতক জিয়ার সৃষ্টি : নানক

বক্তব্য দিচ্ছেন জাহাঙ্গীর কবির নানক

১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে ঘাতক জিয়ার সৃষ্টি হয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, ‘তার চেয়ে বড় কথা বিকৃত ইতিহাসের মধ্য দিয়েই জিয়ার আবির্ভাব হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত হানাদার বাহিনীর পক্ষে প্রতিশোধ পরায়ণ হয়েই জিয়ার নেতৃত্বে ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল, কারণ জিয়াই এতে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছিল।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ৫২ এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৭০ এর নির্বাচন পর্যন্ত কোনো আন্দোলনেই জিয়া ছিলেন না। ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়ার নির্দেশে এবং তারেক জিয়ার পরিকল্পনায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যা করার জন্য। বর্তমান সময়ে দেশকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে ফেলার জন্য তারা এখনও সক্রিয় রয়েছে।  এ ব্যাপারে আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে, যাতে করে সাধারণ জনগণের কোনো ক্ষতি না হয়।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম  বলেন, ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড শুধুমাত্র ব্যক্তি মুজিব হত্যা নয়। খুনি জিয়া গংদের মূল উদ্দেশ্য ছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস এবং বাঙালি জাতির যে বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা তা আরও দৃঢ় করা। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যার সুদৃঢ় নেতৃত্বে আমরা এখন সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে অনেক উন্নত।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ একমাত্র তারই কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই সম্ভব আর এ কারণেই খুনি জিয়া পরিবার বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির দিশারীতে আঘাত হানতে চায়।  সংবিধানকে ভঙ্গুর করে গণতন্ত্রকে বিপন্ন করতে চায় বিএনপি। এজন্য তরুণ সমাজকে সচেতন থাকতে হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইনের সঞ্চালনায় এবং সভাপতি মো. ইব্রাহীম ফরাজীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। এছাড়াও সম্মানিত অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর