২৬ আগস্ট, ২০২৩ ২০:৫১

আইডিয়াল স্কুলের গভর্নিং বডি থেকে মুশতাকের পদত্যাগ

অনলাইন ডেস্ক

আইডিয়াল স্কুলের গভর্নিং বডি থেকে মুশতাকের পদত্যাগ

খন্দকার মুশতাক আহমেদ। ফাইল ছবি

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করেছেন আলোচিত দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ।

‘ব্যক্তিগত’ কারণ দেখিয়ে গত বৃহস্পতিবার তিনি গভর্নিং বডির সভাপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।

আজ শনিবার বিকালে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মুশতাক আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্কুলের দাতা সদস্য পদ থেকে আমি পদত্যাগ করেছি।’

খন্দকার মুশতাকের ‘পদত্যাগপত্র’ পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন গভর্নিং বডির সভাপতি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান। তিনি বলেন, ‘পরবর্তী বৈঠকে খন্দকার মুশতাক আহমেদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ ও এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

এদিকে ছাত্রীর বাবার করা ধর্ষণ মামলায় মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদের জামিন বহাল রেখেছে চেম্বার আদালত। তবে আদালত বলেছে, মুশতাক গভর্নিং বডির কোনো কর্মকাণ্ডে ও মিটিংয়ে অংশ নিতে পারবেন না। তিনি স্কুলের সীমানায়ও যেতে পারবেন না।

আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের স্বাক্ষরের পর আজ শনিবার এ সংক্রান্ত লিখিত আদেশ প্রকাশ করা হয়।

আদেশে বলা হয়েছে, ‘আসামি খন্দকার মুশতাক আহমেদকে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনে এবং ওই স্কুল অ্যান্ড কলেজের কম্পাউন্ডের ভেতরে প্রবেশে বারিত (নিষিদ্ধ) করা হলো।’

এর আগে গত ২০ আগস্ট ছাত্রীর বাবার দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় গভর্নিং বডির সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদের জামিন বহাল রাখে চেম্বার আদালত। তবে আদালত বলেছে, মুশতাক আহমেদ গভর্নিং বডির কোনো কর্মকাণ্ডে এবং মিটিংয়ে অংশ নিতে পারবেন না। স্কুলের সীমানায়ও যেতে পারবেন না।

গত ১৭ আগস্ট মুশতাক আহমেদকে বিয়ে করা আইডিয়ালের ছাত্রীকে নিরাপদ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। একইসঙ্গে অভিযুক্ত মুশতাককে আগাম জামিন দেয় আদালত।

গত ১ আগস্ট কলেজছাত্রীকে প্রলোভন ও ধর্ষণের অভিযোগে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদকে প্রধান আসামি করে মামলা করা হয়। মামলার অন্য আসামি হলেন ওই কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদী। কলেজ ছাত্রীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, তার মেয়ে (ভুক্তভোগী) মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। আসামি মুশতাক বিভিন্ন অজুহাতে কলেজে আসতেন এবং ভুক্তভোগীকে ক্লাস থেকে প্রিন্সিপালের কক্ষে ডেকে আনতেন। খোঁজ-খবর নেওয়ার নামে আসামি ভুক্তভোগীকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে প্রলুব্ধ করতেন। কিছুদিন পর আসামি মুশতাক ভুক্তভোগীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় ভুক্তভোগীকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে এবং তাকে ও তার পরিবারকে ঢাকা ছাড়া করবে বলে হুমকি দেন।

ভুক্তভোগী এ রকম আচরণের বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষকে (২ নম্বর আসামি) ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন। তিনি (অধ্যক্ষ) ব্যবস্থা করছি বলে আসামি মুশতাককে তার রুমে নিয়ে আসেন এবং ভুক্তভোগীকেও ক্লাস থেকে নিয়ে এসে রুমের দরজা বন্ধ করে দিয়ে আসামিকে সময় ও সঙ্গ দিতে বলেন। এ বিষয়ে বাদী ২ নম্বর আসামির কাছে প্রতিকার চাইতে গেলেও কোনো সহযোগিতা করেননি। বরং আসামি মুশতাককে অনৈতিক সাহায্য করে আসতে থাকেন। বাদী উপায় না পেয়ে গত ১২ জুন ভুক্তভোগীকে ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে নিয়ে গেলে আসামি মুশতাক তার লোকজন দিয়ে ভিকটিমকে অপহরণ করে নিয়ে যান। এরপর বাদী জানতে পারেন আসামি ভিকটিমকে একেক দিন একেক স্থানে রেখে অনৈতিক কাজে বাধ্য করেছে এবং যৌন নিপীড়ন করছে।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ  

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর