৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২১:৪০

ছাত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক; জবির সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:

ছাত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক; জবির সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক সম্পর্কের ঘটনায় গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ. বি. এস মাণিক মুনসীর বিরুদ্ধে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

মঙ্গলবার বিকেলে চার সদস্যের এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিষয়টি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ।

তিনি বলেন, বিষয়টি আমরা তাৎক্ষণিকভাবে আমলে নিয়েছি। এর জন্য চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তির রিপোর্ট অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান খন্দকারকে। অপর তিন সদস্যরা হলেন অধ্যাপক নীল উৎপল সরকার, নীগার সুলতানা ও সহকারী প্রক্টর রেজাউল হোসাইন।

এর আগে গতকাল সোমবার গণিত বিভাগের একাডেমিক সভায় অভিযুক্ত মাণিক মুনসীকে বিভাগীয় সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। 

ভুক্তভোগী ছাত্রী গণিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষে পড়েন। যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠায় বিভাগের পক্ষ থেকে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপাচার্যকে লিখিতভাবে জানানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত কমিটি করেন।

গণিত বিভাগের শিক্ষকেরা জানান, ভুক্তভোগী ছাত্রী প্রথমে ওই শিক্ষকের কাছে কাউন্সেলিং ও বিভিন্ন পরামর্শের জন্য আসতেন। এই সুযোগে তিনি ছাত্রীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে বিয়ের কথা বলে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন।

উপাচার্যকে বিভাগের পক্ষ থেকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, অভিযুক্ত শিক্ষক বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিজ বিভাগের ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। ওই শিক্ষক তার স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে বলেও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে জানিয়েছিলেন।

চিঠিতে আরও বলা হয়, গত বুধবার অভিযুক্ত শিক্ষকের নিজ কক্ষে দরজা বন্ধ অবস্থায় ওই ছাত্রীর দীর্ঘ সময় অবস্থানের বিষয়টি বিভাগের অন্য এক শিক্ষকের নজরে আসে। ঘটনাটি জানাজানি হলে ওই ছাত্রী বিয়ে করতে বললে অভিযুক্ত শিক্ষক আপত্তি জানান। পরে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিভাগীয় চেয়ারম্যানকে লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী ছাত্রী।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ. বি. এস মাণিক মুনসীর সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। 

অভিযোগের বিষয়ে গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শরিফুল আলম বলেন, বিষয়টি বিভাগের একাডেমিক সভায় প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ওই শিক্ষককে বিভাগের সব একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। 

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর