১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৬:৪৩

প্রত্যাহার নয়, এডিসি হারুনের স্থায়ী বহিষ্কার চান ঢাবি শিক্ষার্থীরা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

প্রত্যাহার নয়, এডিসি হারুনের স্থায়ী বহিষ্কার চান ঢাবি শিক্ষার্থীরা

ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নির্যাতনে অভিযুক্ত ডিএমপির রমনা জোনের এডিসি হারুন-অর-রশিদকে শুধু প্রত্যাহার নয়, বরং তাকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা। 

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাষ্কর্যে এক মানববন্ধনে এ দাবি জানান তারা। 

শনিবার রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিমকে পিটিয়ে আহত করার প্রতিবাদে ও অভিযুক্ত এডিসি হারুনের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। 

এসময় ফজলুল হক মুসলিম হল ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হাসান বলেন, এডিসি হারুন কুকুরের মত আচরণ করে। যে কোন জায়গায়, ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, সব জায়গায় সে নির্মম ব্যবহার করে। তার আচরণ হলো মানসিক বিকারগ্রস্থদের মত। সবচেয়ে বড় কথা হলো, দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে সে তার সহকর্মীর সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হতে পারে না। কোন জায়গা না পেয়ে সে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যভিচারের জন্য বারডেম হাসপাতালের মত জায়গা বেছে নেয়। 

তিনি বলেন, পুলিশের উচিত বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে মানসিক বিকারগ্রস্থ এ কর্মকর্তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করে আইনের শাসনকে সমুন্নত করা। আমরা তাদের পাশে আছে। তারা যেন দৃষ্টান্তমূলক বিচার করে, তা না হলে বর্তমান ছাত্রলীগ কী করবে জানি না। আমি সাবেক ছাত্রলীগের নেতারা বসে থাকবো না। 

ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি কামাল খান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় পুলিশ সর্বপ্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলো। সেই বাহিনীর এক কর্মকর্তা তার ব্যক্তিগত আক্রোশবশত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে যেভাবে নির্যাতন করেছে, এর দায়বদ্ধতা তার, পুলিশের নয়। পুলিশ কখনই এর দায়ভার নেবে না। এর আগে, আমি মনে, তারা যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, তারা হারুনকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেবে। আমি মনে করি, বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে তাকে জেলে ভরতে হবে। 

গাজীপুর ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি আশিক রাব্বানী জিহান বলেন, এডিসি হারুন যখন বুঝতে পেরেছেন, নাঈম ভাই তার অপকর্মের কথা ফাঁস করের দেবেন, তখন তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার করেছেন। তার প্রত্যাহার কোন শাস্তি হতে পারে না। প্রত্যাহারকে ‘ক্রেডিট’ হিসেবে নিয়েছেন তিনি। তাই তদন্তের মাধ্যমে গ্রেফতার করে জেলে ভরতে হবে। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহনাজ আক্তার সুমি বলেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় একজন নেতা যেখানে নিরাপদ নন, সেখানে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা কতটা নিরাপদ সে প্রশ্নটা থেকেই যায়। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন, এডিসি হারুনকে সর্বোচ্চ শাস্তির মুখোমুখি করে সকল অন্যায়ের বিচার করেন। পুলিশের মত সেবাধর্মী একটি প্রতিষ্ঠানকে যেন কলঙ্কিত হতে না হয়। 

মানববন্ধনে ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু, যুবলীগ সদস্য শেখ আহসান, সাবেক সহ-সভাপতি সোহান খান, মামুনুর রশিদ, কামাল খান, নজরুল ইসলাম প্রমূখ সংহতি জানান ও বক্তব্য দেন।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর