শিরোনাম
২৩ অক্টোবর, ২০২৩ ১৭:১৫

রাবি ছাত্রলীগের ‌‘বিতর্কিত’ নেতৃত্বর বিলুপ্তি চান ‘বিতর্কিত’ নেতারা

রাবি প্রতিনিধি

রাবি ছাত্রলীগের ‌‘বিতর্কিত’ নেতৃত্বর বিলুপ্তি চান ‘বিতর্কিত’ নেতারা

প্রতীকী ছবি

দীর্ঘ সাত বছর পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে ভাঙচুর, মারধর ও আন্দোলনের ঘটনা ঘটেছে। ঘোষিত এ কমিটিকে বিতর্কিত আখ্যা দিয়ে আন্দোলন শুরু করেন পদবঞ্চিত নেতারা। বিতর্কিত এ কমিটি বাতিল চান তারা। তবে আন্দোলনকারী নেতাদের বিরুদ্ধেও নানা বিতর্ক রয়েছে। ছাত্রলীগের এমন কর্মকাণ্ডে ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নিরাপত্তার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ক্যাম্পাসে যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া আমরাও সার্বিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করছি। 

গত ২১ অক্টোবর রাতে এ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ৩৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে মোস্তাফিজুর রহমান বাবুকে সভাপতি ও আসাদুল্লা-হিল-গালিবকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ঘোষণার পরদিন এ কমিটি অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে ক্যাম্পাসে ভাঙচুর, মারধর ও আন্দোলন শুরু করে ছাত্রলীগের একাংশ। এদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সহ-সভাপতি কাজী আমিনুল হক লিংকন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহিনুল সরকার ডন, উপধর্মবিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম দুর্জয়, ছাত্রলীগ নেতা অনিক মাহমুদ বণি ও সাকিবুল হাসান বাকি প্রমুখ। তারা সবাই শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই পদবঞ্চিত। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আন্দোলনকারী কোনো নেতাই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত ছাত্র নন। পদ পেতে বিভিন্ন কোর্সে ভর্তি আছেন তারা। এদের মধ্যে কাজী লিংকনের বিরুদ্ধে বিবাহিত ও সন্তান থাকার অভিযোগ আছে। তবে বরাবরই সেটা অস্বীকার করে আসছেন তিনি। মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ নানা অভিযোগে বিতর্কিত আরেক নেতা বনি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ড্রপ আউট। আরেক নেতা সাকিবুল হাসান বাকির বিরুদ্ধে বিবাহ, মারধর ও ইভটিজিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। 

পদবঞ্চিত নেতা কাজী লিংকনের অভিযোগ, এতদিন যাচাই-বাছাই করে কমিটির নেতৃত্বে বিতর্কিতদের আনা হয়েছে। নিষ্ক্রিয় একজনকে সভাপতি এবং বিবাহিত, ড্রপ আউট ও অনুপ্রবেশকারী একজনকে সাধারণ সম্পাদক পদে বসানো হয়েছে। আমরা এ কমিটি মানি না। এছাড়া কমিটি অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে নেতৃবৃন্দকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে না দেয়ার ঘোষণা দেন পদবঞ্চিতরা।

এদিকে সদ্য ঘোষিত শাখা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটির অধিকাংশ নেতার বিরুদ্ধে হলে সিট বাণিজ্য, সিট দখল, মারধর, চাঁদাবাজি, তথ্য গোপন করে সান্ধ্যকোর্সে ভর্তিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। 

সদ্য ঘোষিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব জানান, কমিটির দাবিতে দীর্ঘদিন ক্যাম্পাসে একসঙ্গে আন্দোলন করেছি, তখন তাদের এই অভিযোগ ছিল না। পদ না পেয়ে এখন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন তারা।

সার্বিক বিষয়ে জানতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর