১২ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:৩৯

‘জাহাঙ্গীরনগর বাঁচাতে’ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সমাবেশ

জাবি প্রতিনিধি

‘জাহাঙ্গীরনগর বাঁচাতে’ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সমাবেশ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বাস্তুসংস্থান রক্ষা ও প্রাকৃতিক পরিবেশ বাঁচাতে সংহতি সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে ‘জাহাঙ্গীরনগর বাঁচাও আন্দোলন’ এর ব্যানারে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা গত ১ নভেম্বর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুন্দরবন নামক এলাকায় ৪০টি গাছ কেটে উধাও করার ঘটনার প্রতিবাদ জানান। এছাড়া বনভূমি উজাড় করে যত্রতত্র ভবন নির্মাণ না করে অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে উন্নয়নের মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের দাবি জানান তারা।

কর্মসূচিতে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণ শুধু আইবিএ বিভাগের ক্ষেত্রে নয়, এর আগে সমাজবিজ্ঞান অনুষদ, কলা অনুষদের ক্ষেত্রেও ঘটেছে। এসব অপরিকল্পিত উন্নয়নের সিদ্ধান্ত কে বা কারা দেয় প্রশাসনের কাছে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়না

এটা হচ্ছে ঠিকাদার পরিচালিত উন্নয়ন প্রকল্প। ঠিকাদারদের দেখানো জায়গাতেই ভবন নির্মাণ হচ্ছে। বর্তমান উপাচার্যও এজন্য দায়ী। তার উচিত ছিল শুরুতে একটা জরিপ করা। তাহলে কোন বিভাগের কোথায় ভবন করতে হবে তার সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। রাতের বেলায় চুরি করে গাছ কেটে কেন ভবন নির্মাণ করতে হবে? রাতের বেলায় গাছ কাটার দায়িত্ব অবশ্যই বর্তমান প্রশাসনকে নিতে হবে। আইবিএ প্রশাসন এই যৌক্তিক আন্দোলনের সাথে একমত হয়ে সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবীর সংহতি জানিয়ে বলেন, আজকে দেশে উন্নয়নের নামে পাহাড়, নদী ধ্বংস করা হচ্ছে। পুঁজিপতি গোষ্ঠীর কাছে আজ দেশটা জিম্মি হয়ে আছে। শুধু জাহাঙ্গীরনগর নয়, দেশকে বাঁচাতে হলে আগে প্রকৃতি-পরিবেশ বাঁচাতে হবে। এজন্য অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন জরুরি।

অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক মাহা মির্জা বলেন, পরিবেশ ধ্বংস করে আমরা উন্নয়ন চাই না। উন্নয়ন করতে হবে পরিবেশ রক্ষা করে। প্রশাসন ক্লাইমেট চেইঞ্জ বিষয়ক বিভিন্ন সেমিনারে গাছপালা রক্ষার কথা বলে। কিন্তু কার্যত তারা পরিবেশ রক্ষায় কোনো কাজই করেন না। জাহাঙ্গীরনগরে বনভূমি ধ্বংস করে কোনো উন্নয়ন হতে দেওয়া যাবে না।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক পারভীন জলি, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের শিক্ষক অলিউর সান, সাংবাদিক ও গবেষক সায়দিয়া গুলরুখ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রফিকুজ্জামান ফরিদ, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি নজির আমিন চৌধুরী জয়, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল রনি প্রমুখ।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর