জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) চারজন শিক্ষার্থীকে হেনস্তার জেরে শ্যামলী পরিবহনের ৪টি দূরপাল্লার বাস আটক করেছে শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে উত্তরবঙ্গগামী লেনে বাসগুলো আটক করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ভোররাতে শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসে কক্সবাজার থেকে জাবি ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন চারজন শিক্ষার্থী। পথিমধ্যে ঢাকার গাবতলী এলাকায় পৌঁছালে তাদের অন্য একটি বাসে জোরপূর্বক তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেন বাসটির সহকারী সোহেল ও কর্মচারী মিলন। বাসে উঠতে দেরি হলে শিক্ষার্থীদের উপর চড়াও হন সোহেল ও মিলন। এ ঘটনায় সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে উত্তরবঙ্গগামী ৪টি যাত্রীবাহী বাস আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে মালিকপক্ষের সাথে ঘণ্টাখানেক আলোচনা সাপেক্ষে ৪টি শর্তে বাসগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়।শর্তগুলো হলো-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত সোহেল ও মিলনকে ক্যাম্পাসে হাজির করতে না পারলে তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা। অভিযুক্তদের আজীবনের জন্য শ্যামলী পরিবহন থেকে চাকরিচ্যুত করা। এ ছাড়া তারা যেন দেশের কোনো পরিবহন সেক্টরে চাকরি করতে না পারে তার যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া এবং তাদের বিরুদ্ধে পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি প্রদান করা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্যামলী পরিবহনের ব্যবস্থাপক মো. আলমগীর কবির বলেন, ৪টি শর্তে আটককৃত বাসগুলো ছেড়ে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের শর্তগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো. ইখতিয়ার উদ্দিন ভূঁইয়া বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আটককৃত বাসগুলো যাত্রীদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে তাৎক্ষণিক ছেড়ে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। মালিকপক্ষ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই