১০ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০৯:০১

যবিপ্রবিতে ৮ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার

অনলাইন ডেস্ক

যবিপ্রবিতে ৮ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার

ফাইল ছবি

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৮ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার যবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের ৯৬তম সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এর আগে, তদন্ত কমিটি তাদের সুপারিশ রিজেন্ট বোর্ডের সভায় পাঠায়। কমিটির সুপারিশ পর্যালোচনা ও ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গত ১৪ অক্টোবর ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনার জেরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করেছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। পরবর্তীকালে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। ওই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে অবশেষে ব্যবস্থা গ্রহণ করল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

রিজেন্ট বোর্ডের সভায়, গত ১৪ অক্টোবর বিএমই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনায় গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সোহেল রানাকে আজীবন বহিষ্কার, তানভীর আহমেদ আবিরকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে মারামারির ঘটনায় গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী সোহেল রানা ও একই বিভাগের শিক্ষার্থী রেদওয়ান আহমেদ রাফিকে আজীবন, ফার্মেসি বিভাগের রাইসুল হক রানা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মো. বেলাল হোসেনকে দুই বছরের জন্য এবং কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শোয়েব, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ফয়সাল আহমেদ রকিকে এক বছরের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

একইসঙ্গে ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত, মিথ্যা ঘটনা সাজানো ও তদন্ত কমিটির কাছে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার জন্য শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নৃপেন্দ্রনাথ রায়কে আজীবন বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে মানবিক দিক বিবেচনা করে সভায় আজীবন বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের শাস্তির মেয়াদ দুই বছর করা হয়। তবে এ সময় তারা কেউ কোনো ধরনের অসদাচারণে জড়িত হলে কোনো ধরনের কারণ দর্শানো ছাড়াই তাদের আজীবন বহিষ্কারাদেশের শাস্তি পুনর্বহাল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

একই ঘটনায় শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আল-আমিন, শাহিনুর ইসলাম ও মো. রাজিব রাজুকে সতর্কীকরণ চিঠি এবং অভিভাবকের উপস্থিতিতে মুচলেকা দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এটি না করলে তাদেরও ছয় মাসের বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এ ছাড়া রিজেন্ট বোর্ডের সভায় চলতি বছরের ১৬ জুলাই কোষাধ্যক্ষের অফিস কক্ষে ডিনবৃন্দ, প্রক্টর ও প্রভোস্টদের উপস্থিতির সময় অসদাচরণ করায় শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সোহেল রানা এবং পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের তানভীর ফয়সালকে সতর্কীকরণ চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর