২৭ জানুয়ারি, ২০২৪ ২১:৪৬

চবিতে আন্তর্জাতিক বায়োটেকনোলজি কনফারেন্স

চবি প্রতিনিধি

চবিতে আন্তর্জাতিক বায়োটেকনোলজি কনফারেন্স

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগ এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োটেকনোলজির (এনআইবি) যৌথ উদ্যোগে ‘আগামী প্রজন্মের জৈবপ্রযুক্তি : অসাধারণত্বের পথে’- প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘আন্তর্জাতিক বায়োটেকনোলজি কনফারেন্স’।

শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় জীববিজ্ঞান অনুষদের মিলনায়তনে উদ্বোধনের পরে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সন্ধ্যা ৭টায় সমাপনী পর্বে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনে বিশ্বের প্রায় ৫৭টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ ৫২০ জন অংশগ্রহণ করেন। অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও ভারতসহ পৃথিবীর ৮টি দেশের গবেষক এবং শিল্প উদ্যোক্তারা এতে উপস্থিত ছিলেন। এই সম্মেলনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের খ্যাতনামা বিজ্ঞানীরা অংশগ্রহণ করেন। বিভিন্ন আয়োজনের মাঝে ছিল-উদীয়মান গবেষকদের উপস্থাপনা ‘ইয়ং ইমার্জিং বায়োটেকনোলজিস্ট’, গবেষণা থিসিস নিয়ে ‘স্পটলাইট টক’, নারী গবেষকদের ‘ওমেন ইন বায়োটেক’, প্লেনারি সেশন, পোস্টার প্রদর্শনী ইত্যাদি।

এতে মূল বক্তা হিসেবে ছিলেন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির গবেষক অধ্যাপক ড. উৎপল বোরা, আইসিডিডিআর,বি’র সিনিয়র সায়েন্টিস্ট ড. মোস্তাফিজুর রহমান, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োটেকনোলজির মহাপরিচালক ড. মো. সলিমুল্লাহ, আইসিডিডিআর,বি’র সিনিয়র সায়েন্টিস্ট (ইমিরেটাস) ড. রুবহানা রাকিবসহ পৃথিবী খ্যাত শতাধিক গবেষক এতে অংশগ্রহণ করেন।

বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ আলোচনায় (প্লানারী সেশন) মূল বক্তব্য প্রদান করেন অধ্যাপক ড. উৎপল বোরা। অধ্যাপক বোরা নতুন প্রজন্মের ডিএনএ ড্রাগ কিভাবে রোগ নির্ণয় এবং নিরাময় ত্বরান্বিত হবে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এ ছাড়া অধ্যাপক আল-ফোরকান ভীষণ ২০৪১ বাস্তবায়নে জীবপ্রযুক্তির ভূমিকা এবং পথরেখা কেমন হবে, তা নিয়ে বিস্তারিত প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-৫ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ইমেরিটাস অধ্যাপক ও বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির সভাপতি ড. একে আজাদ চৌধুরী।

সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির সভাপতি ইমিরেটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী। তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সময়কালে টেকসই উন্নয়ন এবং ভীষণ ২০৪১ বাস্তবায়নে জীবপ্রযুক্তির পরিচর্চা এবং প্রসারের কোনো বিকল্প নেই।

ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ (এমপি) সমাপনী বক্তব্যে দেশের শিল্প উদ্যোক্তাদের জীব প্রযুক্তি গবেষণায় বিনিয়োগের আহ্বান জানান। বিশেষ করে তিনি ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিগুলোকে এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে আহ্বান জানিয়েছেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, করোনাকালীন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, তা প্রমাণ করে জীবপ্রযুক্তি গবেষণার গুরুত্ব কতটুকু। এই বিষয়ে গবেষণা আরও এগিয়ে নিতে তিনি উৎসাহ প্রদান করেন।

সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. তৌহিদ হোসেন। এ ছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন ড. রুভানা রাকিব, এন এম জিয়াউল আলম, ড. মো. সলিমুল্লাহ, ড. মোহাম্মদ আল-ফোরকান, অধ্যাপক ড. লুলু ওয়াল মর্জান, অধ্যাপক ড. নাজনীন নাহার ইসলাম এবং অধ্যাপক ড. আদনান মান্নান।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর