৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ২২:০৩

জাবিতে ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামিসহ পলাতক ২, আন্দোলন অব্যাহত

জাবি প্রতিনিধি

জাবিতে ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামিসহ পলাতক ২, আন্দোলন অব্যাহত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আবাসিক হলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় এখনো প্রধান আসামি বহিরাগত মামুসুর রশীদ মামুনসহ দুজন পলাতক রয়েছেন। পলাতক অন্য আসামি হলেন তার সহযোগী মো. মুরাদ। এদিকে, এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ধর্ষণ ও নিপীড়ন বিরোধী গণপোস্টারিং কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিকী অনুষদের সামনে মানবন্ধন করেন। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মীর মশাররফ হল হয়ে পুনরায় কলা ও মানবিকী অনুষদের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে শিক্ষার্থীরা ধর্ষণ ও নিপীড়ন বিরোধী নানা স্লোগান দেন।

এদিকে, ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনে সামিল হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও। দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসেন আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সেখানে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ধর্ষণ ও নিপীড়নমূলক ঘটনাগুলোর বিচার নিশ্চিত করতে আন্দোলনের রূপরেখা বাস্তবায়নে ‘নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ’ নামে প্ল্যাটফর্ম ঘোষণা করা হয়। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অছাত্রদের ক্যাম্পাস ত্যাগ করার আন্দোলনও করা হবে।

নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের সংগঠকরা জানান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি অন্যায়-অপকর্ম ও নিপীড়নের সংখ্যা আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে। শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনি থেকে শুরু করে মীর মশাররফ হোসেন হলের পাশের জঙ্গলে বহিরাগত নারী ধর্ষণের মূল কারণ বিচারহীনতার সংস্কৃতি। এই সংস্কৃতি এখনই বন্ধ না করলে নিপীড়করা সাহস পেয়ে যাবে। এদের এখনই মূলোৎপাটন করতেই মঞ্চ গঠন করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক রাইহান রাইন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ধর্ষণের বিচারের দাবিতে জাবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ। ইতিমধ্যে আমরা নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ ঘোষণা করেছি। আগামীকাল এ মঞ্চ থেকে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করা হবে। এ ছাড়া ধারাবাহিক আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে আছে বহিরাগত প্রধান আসামি মামুসুর রশীদ মামুন (৪৫) ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মুরাদ। এদের মধ্যে মামুন এই ধর্ষণকাণ্ডের মূলহোতা। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মামুনের বাড়ি নওগাঁ জেলার পত্নীতলা। তার বাবার নাম হাসির উদ্দিন।

পলাতকদের গ্রেফতারের বিষয়ে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান বলেন, পলাতক দুইজনের অনুসন্ধানে আমাদের টিম কাজ করছে। খোঁজ পাওয়া মাত্রই আপনাদের জানানো হবে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর