২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ২১:৩৫

রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে সম্মাননা জানাল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

গাজীপুর প্রতিনিধি

রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে সম্মাননা জানাল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

ভারতের মর্যাদাপূর্ণ রাষ্ট্রীয় বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’-তে ভূষিত হওয়ায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তঃকলেজ ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজন সংক্রান্ত কমিটির সদস্য বাংলাদেশের বরেণ্য রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে সংবর্ধনা দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। বৃহস্পতিবার গাজীপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে সিনেট হলে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান। 

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অনুভূতি প্রকাশ করে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের পথচলা। আজকে আমাকে যে সম্মাননার জন্য সংবর্ধনা দেওয়া হল সেজন্য আমি কৃতজ্ঞ। একটি আন্তরিক পরিবেশে আয়োজনটি করা হয়েছে। এর প্রতি মুহূর্তে মনে হয়েছে আপনারা আমাকে ভালোবাসা দিতে চেয়েছেন। আমি মনে করি, যে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে সেটি আমি একটা উপলক্ষ্য। বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে যে সম্পর্ক সেটি অনেক পুরানো। মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে সেই সম্পর্ক চলমান রয়েছে। সেই বন্ধুত্ব এবং সম্পর্কের নিদর্শন স্বরূপ আমাকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি, এই সম্মাননা দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশকে, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে। রবীন্দ্রনাথের গানে যে মানবিকতা, ঔদার্য, সৌহার্দ্য, প্রীতি, বন্ধুত্ব- এই সব কিছুর নিদর্শন হিসেবে এই সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, আমাদের প্রিয় দেশমাতৃকায় রমনার বটমূলে যখন নববর্ষে সংগীত চর্চা হয় সেখানে বোমা হামলা হয়েছে। এক সময় সিনেমা হলগুলোতে বোমা হামলা হয়েছে। সব জেলায় সিরিজ বোমা হামলা হয়েছে। এতে কি বন্যাদির কণ্ঠ বন্ধ হয়েছে? নাকি আরও সুরের ধারায় তিনি নিজেকে প্রকাশ করেছেন। বন্যাদির টিকে থাকার এই সংগ্রাম সব সময় সুশীতল, স্নিগ্ধ, কোমল, শান্তিময় ও প্রতিবাদ মুখর হয়েছে সৃজনশীলতার মধ্য দিয়ে। একজন বন্যা রবীন্দ্রনাথকে কতটা ধারণ করলে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চায় নেতৃত্ব দিতে পারেন সেটি বলাই বাহুল্য। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা যে সম্মাননা পেয়েছেন তার মধ্যে বঙ্গবন্ধু, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সুস্থ সংস্কৃতি খুঁজে পাই। মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই সম্মাননা অনুপ্রেরণা হয়ে রইবে।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর