৭ মার্চ, ২০২৪ ১৯:৩০

স্বস্তি ও আক্ষেপে শেষ রাবির ভর্তি পরীক্ষা

রাবি প্রতিনিধি

স্বস্তি ও আক্ষেপে শেষ রাবির ভর্তি পরীক্ষা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) স্নাতক প্রথমবর্ষ ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তিন ইউনিটে গড় উপস্থিতি ৮৮.২১ শতাংশ। তবে বিভাগীয় শহরে না হওয়ায় কিছুটা ভোগান্তিতে পড়েছেন ভর্তিচ্ছু ও অভিভাবকরা। বৃহস্পতিবার 'বি' ইউনিটে পরীক্ষা শেষে এমন দাবি ওঠে। 

অভিভাবকরা বলছেন, দূর-দূরান্ত থেকে এসে এখানে থাকা এবং সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করা খুবই কষ্টকর। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় অভ্যন্তরে পরিবেশ অনেকটা ভাল, প্রশাসন ও শিক্ষার্থীরা অনেক সহযোগিতা পরায়ণ তবে বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা হলে অনেকটা চাপ কম হতো। আগামীতে এটা কার্যকরের দাবি জানান তারা। 

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, আগামী বছরে বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার বিষয়টি ভাবছি। দ্রুতই একাডেমিক কাউন্সিলে এ বিষয়ে আলোচনা হবে। তাছাড়া অক্লান্ত পরিশ্রমে করে পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সহায়তাকারী প্রত্যেকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন উপাচার্য। 

জানা গেছে, এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় তিন ইউনিটে ৪ হাজার ৪৩৮টি আসনের বিপরীতে একক আবেদনকারী ১ লক্ষ ৫৪ হাজার ৯৭৭ জন। 'সি' ইউনিটে ৮২.১২, 'এ' ইউনিটে ৯১ ও 'বি' ইউনিটে ৯১.৫ শতাংশ পরীক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। ফলে তিন ইউনিটে গড় উপস্থিতি ৮৮.২১ শতাংশ। এক ঘণ্টা সময়সীমায় ৮০টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তরে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ণ করা হয়। এতে ন্যূনতম পাশ নম্বর ৪০। 

এদিকে পরীক্ষা উপলক্ষে ক্যাস্পাসে নিরাপত্তা রক্ষায় তৎপর ছিল প্রক্টরিয়াল টিম, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বাহিনী। এছাড়া অভিভাবক ও ভর্তিচ্ছু নিরবিচ্ছিন্ন সেবা প্রদানে কাজ করেছে ক্যাম্পাসের ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলো। শাখা ছাত্রলীগের উদ্যোগে বিনামূল্যে 'জয় বাংলা' বাইক সেবা  এবং প্রগতিশীল সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র অধিকার পরিষদ, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী, ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র ইউনিয়ন, স্টুডেন্ট রাইটস সহ অন্যন্য সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতাকর্মীও পানি সহ নানা সেবা দিয়েছে। তবে 'সহায়তার কথা' বলে শাখা ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে ১০০-১০০০ টাকা চাঁদা নেয়ার অভিযোগ ওঠে। কিন্তু সেটা অস্বীকার করেছেন তারা। 

এ ব্যাপারে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, ভর্তিচ্ছু ও অভিভাবকদের সেবায় কাজ করেছে ছাত্রলীগ। কেউ চাঁদাবাজি করেনি। তবে এমন অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, কিছু দোকানি খাবারের দাম ও রিকশা ভাড়া বৃদ্ধির অভিযোগ পেয়েছি। তবে সেগুলো নিয়ন্ত্রণে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। তাছাড়া কিছু চাঁদাবাজির কথা জেনেছি, কিন্তু লিখিত কোন অভিযোগ এখন পর্যন্ত পাইনি। পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর