চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থীকে চাপা দেওয়া শাহ আমানত বাসের চালক মো. তাজুল ইসলামকে (৪৯) গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে নগরীর কোতোয়ালী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার তাজুল ইসলাম রাউজান থানার চিকদাইর এলাকার করম আলী হাজীর বাড়ির আবদুল খলিলের ছেলে।
চট্টগ্রাম জেলা অতিরিক্ত পুলিশের সুপার (ডিএসবি) আবু তৈয়ব মোহাম্মদ আরিফ হোসেন বলেন, নগরের কোতোয়ালী এলাকা থেকে চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় জড়িত বাসচালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
অন্যদিকে, এ ঘটনার প্রতিবাদ ও দাবি আদায়ে ফের সড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার সকাল ৯টার দিকে রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে চুয়েটের সামনের সড়কে অবস্থান নেন তারা।আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, নিহত শিক্ষার্থীদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে বাস মালিক সমিতি ২ লাখ টাকা করে দেওয়ার কথা বলেছে। এটা লজ্জাজনক। শাহ্ আমানত ও এবি ট্রাভেলসের বাস এ সড়কে চলবে না বলে জানিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু রুট পারমিট বাতিল করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ৫টি বাস ও ৪টি অ্যাম্বুলেন্স দেওয়ার দাবিও পূরণ হয়নি। তাই আমরা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করছি। সবগুলো দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
চুয়েটের রেজিস্ট্রার শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, শিক্ষার্থীদের কিছু দাবি আমরা মেনে নিয়েছি। তবে বেশকিছু দাবি বাস্তবায়ন সময়সাপেক্ষ। সেজন্য সময় দরকার।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে রাঙ্গুনিয়ার জিয়ানগরে মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হয়ে বাসের ধাক্কায় চুয়েট পুরকৌশল বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা ও ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী তৌফিক হোসাইনের মৃত্যু হয়। এ দুর্ঘটনায় আহত হন ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী জাকারিয়া হিমু। আহত শিক্ষার্থী বর্তমানে এভারকেয়ারে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন।
ঘটনা তদন্তে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে ১০ দফা দাবি জানিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত