চাঁদাবাজির অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন অনিকসহ পাঁচ জনকে আসামি করে ঢাকার আদালতে মামলা করা হয়েছে। ফয়সাল হেলাল নামে এক ব্যবসায়ী বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

রবিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সূত্রাপুর আমলি আদালতে মামলা করা হয়। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পিবিআই অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার প্রথম আসামি মহিউদ্দিন অনিক, দ্বিতীয় সৌরভ হাওলাদার, তৃতীয় রিপন, চতুর্থ হাসিবুল হাসান হৃদয় এবং পঞ্চম হিমুসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩ থেকে ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. শাহা আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বাদী আসামিদের ভয়ে আসামিদের সাথে কথা বলতে বলতে রাজমহল হোটেলের ভেতর ঢুকে যায়। তখন আসামিগণ বাদীর পেছন পেছন রাজমহল হোটেলে ঢুকে বাদীকে ঘেরাও করে সঙ্গে থাকা টাকা-পয়সা এবং মোবাইল ফোন দিয়ে দিতে বলে । তখন ১ ও ২ নং আসামি বাদীকে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে। ১নং আসামি বাদীর পকেটে থাকা দুই লাখ উনিশ হাজার টাকা জোরপূর্বক নিয়ে যায়। তখন ২নং আসামি বাদীর নিকট আরও কিছু আছে কিনা জানতে চায় ও দিয়ে দিতে বলে। অন্যান্য আসামিগণ বাদীকে বেদম মারধর করে মারাত্মকভাবে আহত করে ৩নং আসামি তার হাতে থাকা চাকু বের করে বাদীকে তা দিয়ে আঘাত করতে যায়। তখন বাদীর চিৎকারে হোটেলে কর্মরত কর্মচারীরা এগিয়ে এসে বাদীকে আসামিদের হাত থেকে রক্ষা করে। ফলে আসামিগণ বাদীর মোবাইল ও মানিব্যাগে থাকা অবশিষ্ট টাকা নিতে পারেনি। কিন্তু যাবার আগে ২নং আসামি আগামী ৭ দিনের মধ্যে বাদীকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে বলে অন্যথায় বাদীকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়।

ঘটনার পর বাদী এ বিষয়ে সূত্রাপুর থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা না নিয়ে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। তাই বাদী বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন।

তবে ব্যবসায়ীর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মহিউদ্দিন অনিক। তিনি একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ভবিষ্যতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগে শীর্ষ পদপ্রার্থী। তাই বর্তমান কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ষড়যন্ত্র করে তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছেন। মামলা করা সেই ব্যবসায়ী নিজেই সদরঘাট এলাকায় চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ে সঙ্গে জড়িত।

এ বিষয় জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলবো।

এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের সাড়া মেলেনি।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল