৭ মে, ২০২৪ ২১:০২

রাবি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ছাত্রদল নেতাকে তুলে নিয়ে মারধরের অভিযোগ

রাবি প্রতিনিধি

রাবি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ছাত্রদল নেতাকে তুলে নিয়ে মারধরের অভিযোগ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ-হিল-গালিব ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে এক ছাত্রদল নেতা ও তার বন্ধুকে হলকক্ষে তিন ঘণ্টা আটক রেখে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলে এ ঘটনা ঘটে। তবে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ছাত্রলীগ নেতারা।

মারধরের শিকার দুজন হলেন-বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাফিউল ইসলাম ওরফে জীবন ও তার সহপাঠী বন্ধু ইউনুস খান। তারা দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগী নাফিউল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গালিব আমাকে প্রায় তিন ঘণ্টা আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন। এ সময় গালিব তার কাছে থাকা একটি পিস্তলে বুলেট লোড-আনলোড করে আমাকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছিলেন। একপর্যায়ে তিনি আমাকে বলেন, তোর কোন পায়ে গুলি করব, বল? এ ছাড়া তারা জোর করে আমার মুঠোফোন চেক করেন।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল রাত ৯টার দিকে নাফিউল ও তার সহপাঠী ইউনুস খান ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসেন। একপর্যায়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের তাপসী রাবেয়া হলের সামনে দাঁড়ালে বুঝতে পারেন ছাত্রলীগের তিন নেতা তাদের অনুসরণ করছেন। তখন তারা তাদের মোটরসাইকেলে রোকেয়া হলের পেছন দিয়ে ফ্লাইওভার সংলগ্ন গেট দিয়ে ক্যাম্পাস ত্যাগ করার চেষ্টা করলে ছাত্রলীগ নেতারা পথরোধ করে তাদের আটক করেন এবং জোর করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ হলের ২১৫ নম্বর কক্ষে (বর্তমান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের কক্ষ) নিয়ে আসেন। তখন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গালিবসহ অন্য নেতারা আসেন এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। একপর্যায়ে রাত ১টার দিকে প্রক্টরিয়াল বডির হাতে তাদের তুলে দেওয়া হয়।

অভিযোগের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ-হিল-গালিব বলেন, রাতে ছাত্রী হলের দিকে ছাত্রদলের ওই নেতা ছিল। তখন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দেখে পালাতে থাকলে ছিনতাইকারী সন্দেহ তাকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আটকায় এবং ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলার সন্দেহে এক পর্যায়ে হলে আনলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কেননা পূর্বেও ছাত্রদল এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। জিজ্ঞাবাদে ছাত্রদল নেতা বা তার সহপাঠীর কাছে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। ফলে তাদের প্রক্টরিয়াল বডির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাদের কোনো ধরনের হুমকি, মারধর কিংবা অস্ত্র প্রদর্শন করা হয়নি। এ অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ভুক্তভোগী এখনো মারধর কিংবা হুমকির কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। যদি অভিযোগ করে, তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর