১০ মে, ২০২৪ ২১:০৯

ঢাবির লাইব্রেরি ও হলে ঢুকতে হবে কার্ড পাঞ্চ করে : উপাচার্য

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

ঢাবির লাইব্রেরি ও হলে ঢুকতে হবে কার্ড পাঞ্চ করে : উপাচার্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসান সংকট কমাতে শিক্ষার্থীদের কার্ড পাঞ্চ করে হলে ও লাইব্রেরিতে প্রবেশ করতে হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড এ এস এম মাকসুদ কামাল। 
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের মিলনায়তনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ ও অগ্রায়ন অনুষ্ঠানে উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামাল এই কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে আগামী বছর থেকে শিক্ষার্থীদের ‘কার্ড পাঞ্চ’ করে ঢোকার নিয়ম চালু হবে। হলে মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের ঠেকাতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকট কমবে। আমাদের নিয়মতি শিক্ষার্থীদের স্মার্ট কার্ড দেওয়া হয়েছে। এই কার্ডে ১৫ রকমের অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। আমাদের শিক্ষকদের হাতেও আগামী এক মাসের মধ্যে কার্ড পৌঁছে যাবে।
উপাচার্য বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যে লাইব্রেরিতেও কার্ড পাঞ্চ করে ঢুকতে হবে। মেয়াদোত্তীর্ণ যেসব শিক্ষার্থী লাইব্রেরিতে গিয়ে বিসিএস পড়ে, তারা আর সেখানে ঢুকতে পারবে না।
মাস্টার্সে পরীক্ষা নিয়ে ভর্তির বিষয়ে তিনি বলেন, এখন লাইব্রেরিতে সবাই বিসিএস পড়তে যায়। দু-একজন হয়তো শ্রেণির বই পড়ার জন্য যায়। এর অর্থ যে বিষয়ে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করে, সে বিষয়ে তারা আনন্দ পায় না। আনন্দ পেলে পাঠ্যসূচি নির্ভর পড়াশোনা তাদের ধ্যান-জ্ঞান হওয়ার কথা। সে কারণে আমরা বর্তমানে যে পরিমাণ শিক্ষার্থী ভর্তি করি, সে পরিমাণ শিক্ষার্থী ভবিষ্যতে ভর্তি করার প্রয়োজন আছে কিনা তা ভাবতে হবে। এখন কেবল আন্ডারগ্র্যাজুয়েট পর্যায়ে ভর্তি পরীক্ষা  হয়। সে পরীক্ষার ভিত্তিতেই মাস্টার্সে ভর্তি করানো আইনগতভাবে বৈধ কি না, তাও আমাদের ভাবতে হবে।  মাস্টার্সে যারা যাবে তারা সংখ্যায় বেশি হবে না। যারা বিষয়ের ওপর গবেষণা করবে, ক্যারিয়ার নির্মাণ করবে—তারা হয়তো মাস্টার্সে পড়াশোনা করবে।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে বিভাগের ৯ম, ১০ম, ও ১১ তম ব্যাচকে অগ্রায়ন এবং ১৫তম, ১৬তম ও ১৭তম ব্যাচকে নবীনবরণ দেওয়া হয়। বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১০ আসনের সাংসদ ফেরদৌস আহমেদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন ড. রাশেদা ইরশাদ নাসির এবং বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ। 
 
সংসদ ফেরদৌস আহমেদ বলেন, আমার শেকড় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিল বলেই এ পর্যায়ে পৌঁছাতে পেরেছি। সাংবাদিকতা বিভাগ বৈচিত্রময়। এখান থেকে শিক্ষার্থীরা নানা জায়গায় অবদান রাখছে। সাংবাদিকতা পেশায় শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এখন যে কেউ চাইলে সাংবাদিক হয়ে যান। হাতে একটি ফোন থাকলেই হয়, এটি অপ-সাংবাদিকতা। এসব বিষয় নিয়ে একটি সেমিনার করা যেতে পারে। 
 
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আবুল মনসুর আহামদ বলেন, করোনার কারণে অনেকগুলো ব্যাচকে আমরা ‘নবীনবরণ ও অগ্রায়ন’ দিতে পারিনি। দীর্ঘদিন পর আবারও সে সুযোগ হলো। সামনে তা অব্যাহত থাকবে।  
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর