১৯ মে, ২০২৪ ২০:৫৯

স্নাতকের চূড়ান্ত ফলে তৃতীয় হয়েছেন সেই অবন্তিকা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:

স্নাতকের চূড়ান্ত ফলে তৃতীয় হয়েছেন সেই অবন্তিকা

ফাইল ছবি

এলএলবি অনার্সের ফলাফলে সিজিপিএ ৪.০০ এর মধ্যে ৩.৬৫ পেয়েছেন সম্প্রতি শিক্ষক-সহপাঠীর বিরুদ্ধে ফেসবুকে অভিযোগ দিয়ে আত্মহত্যা করা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। ব্যাচে তৃতীয় স্থান লাভ করেন তিনি। 

রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এলএলবি শেষ সেমিস্টারের প্রকাশিত ফল থেকে এ তথ্য জানা যায়।  

প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, অষ্টম সেমিস্টারে ৩.৭৩ পেয়েছেন অবন্তিকা। এর মধ্যে স্পেশাল পেনাল ল’ কোর্সে তিনি পেয়েছেন ৩.৭৫, ল অব ক্রিমিনাল প্রোসিডিউরে পেয়েছেন ৩.৫০, কনভিয়েন্সিং, ড্রাফটিং অ্যান্ড ট্রায়াল অ্যাডভোকেসি ট্রেনিংয়ে ৩.৫০, লিগ্যাল রিসার্চ অ্যান্ড রাইটিং কোর্সে ৩.৭৫, লিবারেশন মুভমেন্ট অ্যান্ড ইন্ডিপেন্ডেন্ট কোর্সে ৪.০০ ও মৌখিক পরীক্ষায় জিপিএ ৪.০০ পেয়েছেন তিনি।  

বিভাগের অষ্টম সেমিস্টারের পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক সরকার আলী আক্কাস বলেন, সব সময়ই দেখেছি অবন্তিকাকে ভালো রেজাল্ট করতে। অবন্তিকা বরাবরই ভালো স্টুডেন্ট ছিল। এবারও পরীক্ষায় সে ভালো ফলাফল করেছে।

অবন্তিকার মা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমি কি বলব আপনি নিজেই বুঝতে পারছেন। এ ফলাফল দিয়েই বা কি হবে? আমার মেয়েকে তো একটা জিডির কপি দিয়ে মেরে ফেলেছে তারা। অভিযুক্ত শিক্ষক তো ছাড়া পেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আপনাদের উপাচার্য বলেছে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি সাতদিনে রিপোর্ট দেব। কই আজকে তো দুই মাস পার হয়েছে কোথায় উচ্চ তদন্ত কমিটির রিপোর্ট। 

তিনি আরও বলেন, আমি আমার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে দ্রুতই মামলার অগ্রগতি নিয়ে উকিলের মাধ্যমে কোর্টে যাব। আমার একটা জীবন্ত মেয়েকে এভাবে মেরে ফেলে সবাই হাওয়া খেয়ে বেড়াবে এটাতো আমি হতে দিতে পারি না। 

গত ১৫ মার্চ শিক্ষক-সহপাঠীকে দায়ী করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা আত্মহত্যা করেছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের শিক্ষার্থী। পরবর্তীতে গত ১৬ মার্চ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আলটিমেটামের ৬ ঘণ্টার মধ্যেই ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মানকে আটক করেছিলো পুলিশ। ওইদিন রাতে ঢাকা মহানগর লালবাগ বিভাগের কোতোয়ালি থানা-পুলিশ তাদের আটক করে। 

গত ৮ মে হাইকোর্টের নির্দেশে জামিনে মুক্তি পায় শিক্ষক দ্বীন ইসলাম।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর