শিরোনাম
২৬ জুন, ২০২৪ ১৯:০১

রাবিতে পেনশন নীতিমালা বিরোধী আন্দোলন, প্রথমবর্ষ ক্লাসের সময় পেছালো

রাবি প্রতিনিধি

রাবিতে পেনশন নীতিমালা বিরোধী আন্দোলন, প্রথমবর্ষ ক্লাসের সময় পেছালো

স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে পেনশন নীতিমালার 'প্রত্যয় স্কিম' প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। পহেলা জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মসূচির ঘোষণা রয়েছে। ওইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথমবর্ষের ক্লাস শুরুর কথা ছিল। তবে শিক্ষকদের চলমান আন্দোলন ও আসন ফাঁকা থাকায় ভর্তির সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। 

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, বিভিন্ন ইউনিটে আসন ফাঁকা থাকায় ১১ জুলাই পর্যন্ত ভর্তি কার্যক্রম বৃদ্ধি এবং ১৫ জুলাই ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

জানা গেছে, গত ৫-৭ মার্চ এ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। তখন পহেলা জুলাই থেকে এই বর্ষের ক্লাস শুরু ঘোষণা দেন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। তবে সরকারি চাকরিতে সার্বজনীন পেনশন নীতিমালা পরিবর্তনের পর আন্দোলন শুরু করেন দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও শিক্ষকদের কর্মবিরতি চলছে। পহেলা জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মসূচি আওতায় ক্লাস, পরীক্ষা সহ অন্য কার্যক্রম থেকেই বিরত থাকার কথা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক হাবিবুর রহমান।  

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনের কারণেই স্নাতক প্রথমবর্ষ ভর্তি কার্যক্রম এবং ক্লাস শুরু সময় পেছানো হয়েছে। 

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক হাবিবুর রহমান বলেন, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে দু'দিন অর্ধদিবস কর্মবিরতি চলছে। দাবি না মানা হলে আগামী ৩০ জুন পূর্ণদিবস এবং পহেলা জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মসূচি পালিত হবে। 

এ দিকে সার্বজনীন পেনশন নীতিমালার 'প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহরের দাবিতে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকরা। এ সময় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক কামরুজ্জামান সহ সমিতি অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন বিভাগের সভাপতি ও শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন। 

বিশ্ববিদ্যালয় দুটির শিক্ষক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, পহেলা জুলাই থেকে জোড়ালো আন্দোলন সফল করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও বিভাগের সভাপতিদের কর্মবিরতি ও আন্দোলনের বিষয়টি জানানো হয়েছে। 

এর আগে, গত ২০ মার্চ এক প্রজ্ঞাপনে সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় নতুন স্কিম সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের। এ স্কিমে দেশের চারশোর বেশি স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ কর্মীদের বাধ্যতামূলকভাবে এই কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত হতে হবে। তবে এটা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বৈষম্য অ্যখ্যা দিয়ে আন্দোলন শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।


বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর