৪ জুলাই, ২০২৪ ১০:৩৯

রাবির স্বাস্থ্যবীমা চুক্তি নবায়ন, আছে ভোগান্তির অভিযোগও

রাবি প্রতিনিধি

রাবির স্বাস্থ্যবীমা চুক্তি নবায়ন, আছে ভোগান্তির অভিযোগও

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সঙ্গে জেনিথ ইসলামি লাইফ ইনসুরেন্স লিমিটেডের স্বাস্থ্যবীমা চুক্তি নবায়ন হয়েছে। গত দুই বছরে ১ কোটি ৮ লক্ষাধিক টাকার স্বাস্থ্যবীমা প্রদান করেছে এই কোম্পানি। তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিমার টাকা পেতে নানা ভোগান্তির পোহাতে হয়। বীমা কর্তৃপক্ষ বলছেন, ক্লেইম অসম্পূর্ণ থাকায় কিছুটা সমস্যা হয়েছে। 

এ ব্যাপারে কোম্পানির ডেপুটি ভাইস প্রেসিডেন্ট আনোয়ার হোসেন বলেন, 'অনেক শিক্ষার্থী যথাযথ সাপোর্টিং ডকুমেন্টস না দিয়েই ক্লেইম করে। যথাযথ ডকুমেন্টস প্রদানের জন্য বারবার বলা হলেও তারা বিলম্ব করলে টাকা পেতেও বিলম্ব হয়। তবে চুক্তি যেহেতু নবায়ন হয়েছে সেহেতু অসম্পূর্ণ ক্লেইম সম্পূর্ণ করলে শিক্ষার্থীদের দাবি পরিশোধ করা হবে। আমরা চুক্তির বাইরে এই সুবিধা দিচ্ছি।' 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বাস্থ্য বিমার প্রকল্পে ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জুলাই পর্যন্ত চুক্তি করে জেনিথ ইসলামি লাইফ ইনসুরেন্সে লিমিটেড ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। এতে বাৎসরিক ২৫০ টাকা প্রদানের মাধ্যমে সকল শিক্ষার্থীকে এই চুক্তির আওতায় আনা হয়। মেয়াদ শেষ হওয়ায় ১ জুলাই আরো ২ বছরের জন্য উভয়ের মধ্যে চুক্তির মেয়াদ নবায়ন করা হয়। গত মেয়াদে শিক্ষার্থীদের ২ হাজার ২০০ দাবি পরিশোধ করেছে কোম্পানি। পরিশোধকৃত অর্থের পরিমাণ ১ কোটি ৮ লাখ ৯০ হাজার ৬৬৬ টাকা পরিশোধ হয়েছে। তবে ২ বছরে শিক্ষার্থীরা ক্লেইম করেছে ৩ হাজার ৫১৫টি। দাবিকৃত অর্থের পরিমাণ ২ কোটি ৭০ লাখ ৭৩ হাজার ৯৭৮ টাকা। এরমধ্যে ৪৫২টি ৪৭ লাখ ৩ হাজার ৬০৫ টাকা পরিশোধ করা হয়নি। এগুলোকে অসম্পূর্ণ ক্লেইম বলছেন বিমা কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া চুক্তির শর্ত বহির্ভূত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ৮৬৩ ক্লেইম বাতিল করা হয়েছে। গত চুক্তিতে কোম্পানিকে ১ কোটি ৩০ লাখ ৯৭ হাজার ২৫১ টাকা প্রদান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

বীমা কর্তৃপক্ষ বলছেন, নবায়নকৃত চুক্তিতে পূর্বের সেবাগুলোই পাবেন শিক্ষার্থীরা। তবে নতুন এই চুক্তিতে ক্লেইমের সময়সীমা ৩০ দিনের পরিবর্তনে ৪৫ দিন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এবার পূর্বের কোন রোগের চিকিৎসার পরও ক্লেইমের সুযোগ থাকবে। পূর্বের মতো বিমার আওতায় কোন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হলে এককালিন ২ লাখ ও হাসপাতালে ভর্তিকালীন চিকিৎসা ব্যয় সর্বোচ্চ ৮০ হাজার টাকা পাবেন। এ ছাড়া বহির্বিভাগে চিকিৎসার ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী বছরে ২০ হাজার টাকা পাবেন। এক দিনের বিল হলেও একই পরিমাণ অর্থ প্রদানযোগ্য। একজন শিক্ষার্থী ইনডোর ও আউটডোর চিকিৎসার ক্ষেত্রে ৩ মাসের মধ্যে কেবল একবার ক্লেইমের সুযোগ পাবে। এই ক্লেইম চিকিৎসা নেয়ার দিন থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে করতে হবে। বছরে সর্বোচ্চ ৮টি ক্লেইমের সুযোগ থাকবে। 

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক অবায়দুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিতে রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি। ক্লেইমের পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শিক্ষার্থীরা চিকিৎসা ব্যয় ফেরত পাবে বলে জানান তিনি। 


বিডি প্রতিদিন/নাজমুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর