৯ জুলাই, ২০২৪ ২০:৪১

শিক্ষক ও কর্মচারীদের আন্দোলনে অচল হাবিপ্রবি

দিনাজপুর প্রতিনিধি

শিক্ষক ও কর্মচারীদের আন্দোলনে অচল হাবিপ্রবি

সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার দাবিতে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচির কারণে সব ক্লাস, পরীক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। এতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে হাবিপ্রবিতে। সেশন জটের আশঙ্কায় শিক্ষার্থীরা।

সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচিতে সব বিভাগে ক্লাস-পরীক্ষা ও দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ও বাস চলাচল স্বাভাবিক ছিল।

কর্মবিরতির নবম দিনে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে একটা পর্যন্ত ড. মুহাম্মদ কুদরাত-এ-খুদা একাডেমিক ভবনের নিচে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি। বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের ব্যানারে ড. এম ওয়াজেদ ভবনের নিচে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচিতে ছিলেন হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজার রহমান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সাদেকুর রহমান, গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফাহিমা খানম, হাবিপ্রবি প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. বলরাম রায়সহ বিভিন্ন শিক্ষকরা।

হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, শিক্ষকদের আত্মমর্যাদার ইস্যু। আমরা প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহার চাই না। কিন্তু প্রত্যয় স্কিম থেকে আমাদের প্রত্যাহার করা হোক। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতন স্কেল কাঠামোতে আনা হোক। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা মাঠে থাকবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

প্রগতিশীল কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি কৃষিবিদ মো. ফেরদৌস আলম বলেন, একটি কুচক্রী মহল সরকারকে ভুল বুঝিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর জন্য প্রত্যয় স্কিমে বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। আশা করি প্রধানমন্ত্রী প্রত্যয় স্কিম থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রত্যাহার করে নেবেন।

উল্লেখ্য, গত ১ জুলাই থেকে সারাদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর