হাইকোর্টের রায়ে স্থিতাবস্থার পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেছেন। এতে নগরজুড়ে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার নগরীর চৌদ্দপাই বাইপাস সংলগ্ন রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধে এ ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীদের দাবি, সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল এবং অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য ন্যায্যতার ভিত্তিতে ন্যূনতম কোটা রেখে সংসদে আইন পাশ করতে হবে।শিক্ষার্থীরা বলছেন, কোটা সংস্কার করে সংসদে আইন পাশ করতে হবে। কোটা নিয়ে সকল বৈষম্য নিরসন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আমরা হাইকোর্টের এমন ঝুলন্ত সিদ্ধান্ত মানি না।
জানা গেছে, কোটা আন্দোলনে অংশ নিতে বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে দলবেধে আসেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিক্ষোভ নিয়ে প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করেন। হাইকোর্টের রায়ে স্থিতাবস্থার সিদ্ধান্ত হলে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন আন্দোলনকারীরা এবং বিক্ষোভ নিয়ে চৌদ্দপাই বাইপাস অবরোধ করা হয়। এতে ঢাকা-নাটোর সহ অনেক জেলার সড়ক পথে যানচলাচল বেলা ৩টা পর্যন্ত বন্ধ থাকে। ফলে নগরজুড়ে তীব্র ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। জটে পড়ে মেডিকেল থেকে বের হয়ে অনেকটা হেঁটে বাড়ি ফিরছেন পথচারীরা।
পথচারী রাজিফা বলেন, অবরোধে যান চলাচল বন্ধ, এখন হেঁটেই বাড়ি ফিরছি। বয়সের ভাড়ে হাঁটতে কষ্ট হচ্ছে।
আরেক পথচারী বলেন, কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে কিন্তু শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যৌক্তিক বলে মনে করি। বৃহৎ স্বার্থে ক্ষুদ্র ত্যাগ করাই যায়। গিয়ার আপ!
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি) মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল করে হাইকোর্টের দেয়া রায় এক মাসের জন্য স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ। এ আদেশের ফলে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র বহাল থাকছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। বুধবার (১০ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগে শুনানি শেষে এ রায় দেন আদালত। ফলে আগামী এক মাস পর এ বিষয়ে ফের শুনানি হবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত