১০ জুলাই, ২০২৪ ১৯:২৮

‘আমরা ক্লাসে ফিরতে পারছি না, শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হচ্ছে’

জবি প্রতিবেদক

‘আমরা ক্লাসে ফিরতে পারছি না, শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হচ্ছে’

আমরা ক্লাসে ফিরতে পারছি না, আমাদের শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মমিন উদ্দিন। তিনি বলেন, আমরা চাই না আমাদের শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হোক। 

বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে 'প্রত্যয় স্কিম' বাতিলের দাবিতে ১০ দিনের টানা কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক মমিন উদ্দিন বলেন, আশা করছি সরকার আমাদের দাবি মেনে নেবে, আমরা দ্রুত ক্লাসে ফিরতে পারবো। আজ দশ দিন হলেও এখনো এ বিষয়ে কোনো সমাধান আসেনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চীন থেকে আসলে হয়তো বিষয়টির সমাধান হতে পারে।  

কর্মবিরতির বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক ড. শেখ মাশরিক হাসান বলেন, মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষকতা পেশায় উৎসাহিত করতে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করার জন্য, তাদের সামাজিক নিরাপত্তা ও সুযোগ সুবিধা ঠিক রাখতে হবে। আমাদের আন্দোলন তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য। শিক্ষকদের যে তিনটি দাবি রয়েছে তা আদায়ের জন্য সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে আমরাও একাত্মতা পোষণ করে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি।

শিক্ষকদের টানা কর্মবিরতির সার্বিক বিষয়ে খোঁজ-খবর নিতে আসেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম।

এসময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, পেনশন স্কিম যেটা প্রস্তাব করা হয়েছে তা শিক্ষকদের জন্য অবাস্তব। শিক্ষকেরা দলমত নির্বিশেষে সারা বাংলাদেশে চরম বৈষম্যমূলক পেনশন স্কিম বাতিলের জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছে। আমি জোর দাবি জানাচ্ছি পেনশনের স্কিম নিয়ে শিক্ষকদের সাথে বসতে হবে কমিশনের নেতৃবৃন্দকে।

তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি খুব শিগগিরই সরকার আমাদের সাথে আলোচনায় বসবে। সেই সঙ্গে অযৌক্তিক পেনশন স্কিম সমাধান করে শিক্ষকদের ক্লাসে ফিরিয়ে তাদের অধিকার সুনিশ্চিত করবে।

একই দাবিতে টানা কর্মবিরতি পালন করে যাচ্ছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক, প্রশাসনিক ও প্রথম বর্ষের ভর্তি কার্যক্রমসহ যাবতীয় সকল ধরনের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় অচল হয়ে পড়েছে ক্যাম্পাস। এর ফলে সেশনজটসহ নানা কাজে এসে ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তবে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ও উন্মুক্ত লাইব্রেরি খোলা রয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর