১৫ জুলাই, ২০২৪ ২১:০৬

জাবিতে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা

জাবি প্রতিনিধি

জাবিতে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা

হামলায় আহত কয়েকজন শিক্ষার্থী

কোটা সংস্কারের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ মিছিলে দফায় দফায় হামলা করেছেন শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

আজ সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনের সড়কে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান সোহেলের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়। এতে চলমান বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জাবি শাখার সমন্বয়ক আব্দুর রশিদ জিতু, জাহিদুর রহমান, মাহফুজ ইসলাম মেঘ, সদস্য জাহিদুল ইসলাম বাপ্পীসহ অন্তত ১৫ জন গুরুতর জখম হয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্বেষা এবং প্রিয়ন্তী ফাইজা নামে দুজন ছাত্রীও রয়েছেন। এছাড়া শাখা ছাত্রলীগের পাঁচজন কর্মী পাল্টা হামলার শিকার হয়ে পেটে ও মাথায় জখম হয়েছেন। আহত বাকিদের নাম এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে পূর্বঘোষিত একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন কোটা আন্দোলনকারীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর, চৌরঙ্গী মোড়, মেয়েদের আবাসিক হল সংলগ্ন সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে দিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দিকে যেতে লাগলে লাঠিসোঁটা, রড় ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় শাখা ছাত্রলীগের দুই শতাধিক নেতাকর্মী। এতে হামলার শিকার হয়ে আন্দোলনকারীরা পিছু হটে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিল্ডিং এবং পদার্থ বিজ্ঞান বিল্ডিং ও শহীদ মিনারের দিকে অবস্থান নেন। পরে রাত সোয়া ৭টার দিকে ছাত্রলীগের উপর পাল্টা হামলা চালান আন্দোলনকারীরা। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন গুরুতর আহত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি হয়েছেন।

রাত পৌনে ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলছিল।

আহত ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুর রহমান জিতু বলেন, ‘আমিসহ আমাদের অন্তত ১৫ জন ছাত্রলীগের হামলায় আহত হয়েছি। আমাদের কয়েকজনকে কাঁদাপানিতে মাথা চুবিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আমাকে ছাত্রলীগ সভাপতি আক্তারুজ্জামান সোহেল সরাসরি আঘাত করেছেন। আমি সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, ছাত্রলীগ ও পুলিশ বাহিনীকে আক্রমণের জন্য লেলিয়ে দিয়ে আমাদের কোটা সংস্কারের দাবি থেকে সরানো যাবে না। শরীরে একবিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোহাম্মদ আলমগীর কবির বলেন, ‘আমরা আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী উভয়পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করছি। পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি।’

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর