১৭ জুলাই, ২০২৪ ২০:৪৩

রাবিতে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করল পুলিশ

রাবি প্রতিনিধি :

রাবিতে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করল পুলিশ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ। ২০ মিনিটের অভিযান শেষে অবরুদ্ধ উপাচার্যকে বাসভবনে পৌঁছে দেওয়া হয়। বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনে এ অভিযান চালানো হয়। 

অভিযান শেষে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশনায় পুলিশ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে অবরুদ্ধ উপাচর্যসহ প্রশাসনের সকলকে উদ্ধার করে। একই সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। তাদের কোন ক্ষতি হয়নি। এখন ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশনা অনুসারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এর আগে, সকাল ১০টায় কোটা আন্দোলনে হামলার প্রতিবাদ ও হল ছুটি প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। একটি অংশ শহিদ হবিবুর রহমান হলের ছাত্রলীগ নেতাদের কক্ষে তল্লাশি করে অস্ত্র পেলে ভাঙচুর করে। পরে বিক্ষোভ নিয়ে পাঁচ দফা দাবিতে প্রশাসন ভবন অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধরা।

শিক্ষার্থীদের দাবি, হল বন্ধর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হল সকল ধরনের ছাত্র রাজনীতিমুক্ত করা এবং ছাত্রলীগের অস্ত্রপাতি উদ্ধার করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। একইসঙ্গে চলমান আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে যেন কোনো ধরনের মামলা না হয় তা নিশ্চিত করা, হলের সিট ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে একদিনের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের হলে তোলা এবং ছাত্রলীগের দখলকৃত সিট গণরুমে পরিণত করা।

সন্ধ্যা ৬টার দিকে আন্দোলনকারীদের কিছু সমন্বয়ক উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা শেষে শিক্ষার্থীদের হলে নিরাপদে অবস্থানের জন্য বলেন। কিন্তু একটি অংশ সমন্বয়কদের কথা না শুনে অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ফলে পুলিশ দিয়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। এসময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করলে শিক্ষার্থীরা প্রশাসন ভবন ত্যাগ করেন। 

এ ব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা হয়েছে। তাদের আজ হলে অবস্থানের কথা বলেছি। আমাদের শিক্ষার্থীরা হলে ফিরেছে। কিন্তু সমন্বয়কারীদের কথা একটি অংশ না শুনে আমাদের ১০ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করে। ফলে বাধ্য হয়ে পুলিশ দিয়ে তাদের বিতাড়িত করা হয়েছে। আটকা পড়া শিক্ষার্থীরা হলে নিরাপদ। তারা শৃঙ্খলা বজায় রেখে সেখানে অবস্থান করুক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রক্টরিয়াল টিম তাদের নিরাপত্তা দেবে।

বিডি-প্রতিদিন/শআ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর