৩১ জুলাই, ২০২৪ ২০:২৮

ছাত্রহত্যার বিচার চেয়ে আন্দোলনে রাবি শিক্ষকরা

রাবি প্রতিনিধি

ছাত্রহত্যার বিচার চেয়ে আন্দোলনে রাবি শিক্ষকরা

ছাত্রহত্যার বিচার চেয়ে আন্দোলনে রাবি শিক্ষকরা

ছাত্রহত্যার বিচারসহ ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষকরা। এতে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসকারীদের শাস্তি এবং শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধের দাবিও জানানো হয়।

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এসব দাবি আদায়ে কর্মসূচি পালন করেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ।

শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন রাষ্ট্রের কাছে দাবি জানান, “সকল অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার করা, ঘুষ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার নাগালে আনা, শান্তিপূর্ণ কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, দেশব্যাপী নৈরাজ্য অগ্নিসন্ত্রাস এবং ধ্বংসমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।”

একই সঙ্গে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট দাবি করে বলেন, “ক্যাম্পাসের প্রতিটি ছাত্র, শিক্ষক, কমকর্তা, কর্মচারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলে নিয়ম অনুযায়ী মেধা এবং জৈষ্ঠতার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত করা, রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক সংগঠনের নামে শিক্ষার্থী নির্যাতন বন্ধ করা, নিয়মিত এবং বৈধ শিক্ষার্থী ব্যতীত আবাসিক সুবিধা না দেওয়া, কোটা আন্দোলনে সম্পৃক্ত কোনও শিক্ষার্থী আইনি বা অন্য কোনও মাধ্যমে হেনস্থার স্বীকার যেন না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।”

পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক সাবরিনা নাজ বলেন, এই জুলাই মাসের ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো একটি স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক হিসেবে আমি কামনা করি না। এভাবে হত্যা, প্রাণ ঝরে যাওয়া কখনওই কাম্য নয়। বিশেষ করে শিক্ষাঙ্গনে এটা একদমই কাম্য নয়। আমরা দেখেছি ১৩ জুলাই থেকে প্রতিনিয়ত অনেক সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী ও শিশু মারা গেছে। কেন হল এই হত্যাকাণ্ড, এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।”

সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ওমর ফারুক সরকার বলেন, “এই আন্দোলনকে ঘিরে সৃষ্ট নৈরাজ্য কোনওভাবেই কাম্য নয়। এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। আমরাও শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করছি। কিন্তু আদালতের রায় শিক্ষার্থীদের পক্ষে হওয়ার পরেও একদল কুচক্রী মহল ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা দ্রুতই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। যতদিন বিশ্বিবদ্যালয় বন্ধ থাকবে ততদিন তৃতীয়পক্ষ বেশি সুযোগ পাবে। কোটা দাবি যৌক্তিক, আমরা সবাই এর পক্ষে ছিলাম, এখনও আছি।”

এদিকে পৃথক আরেকটি কর্মসূচিতে দেশব্যাপী ছাত্রহত্যা, নিপীড়ন ও মিথ্যা মামলায় হয়রানির ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম। 
  
কর্মসূচিতে মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এনামুল হক বলেন, এই দেশ কাশ্মীর বা ফিলিস্তিন নয় যে শিক্ষার্থীদের হত্যা করতে হবে। এমনকি নির্বিচারে গ্রেফতার করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। গণতান্ত্রিক দেশে এটি কোনওভাবেই কাম্য নয়।” 

বিডি প্রতিদিন/একেএ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর