৭ আগস্ট, ২০২৪ ১৭:৪১

বেরোবি’র উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

বেরোবি’র উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) উপাচার্য যথাযথ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে তার পদত্যাগসহ ৮ দফা দাবি জানিয়েছে রংপুরের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়করা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটরিয়ার সামনে সমন্বয়ক বকুল ইসলাম এবং সাবিনা ইয়াসমিন এই ঘোষণা দেন।

তারা বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সাধারণ শিক্ষার্থীদের চাওয়া, প্রত্যাশা এবং আলোচনার ভিত্তিতে আমরা দাবিগুলো উত্থাপন করছি। আমাদের বিশ্বাস এই দাবিগুলো পূরণের মাধ্যমে আমাদের এই বিদ্যাপীঠ একটি নিরাপদ, যুগোপযোগী ও আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হওয়ার পথে অগ্রসর হবে।

দাবিগুলো হলো-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাসিবুর রশীদ তার যথাযথ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করবে এবং একজন যোগ্য এবং মেরুদণ্ড বিশিষ্ট ব্যক্তি স্থলাভিষিক্ত হবে। প্রক্টরিয়াল বডি, প্রভোস্টবডি, বহিরাঙ্গন ও দায় পরামর্শক বিভাগসহ দায়িত্বরত যাদের মদদ ও অবহেলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কালো অধ্যায় রচিত হয়েছে, তাদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। সকল লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি ও শিক্ষক রাজনীতি বন্ধ করে সুষ্ঠু নেতৃত্ব চর্চা ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন গঠনের লক্ষ্যে অতিদ্রুত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। শহীদ আবু সাঈদের স্মৃতি রক্ষার্থে একটি স্মৃতিস্তম্ভ, এক নম্বর গেটের নাম শহীদ আবু সাঈদ তোরণ, পারিবারিক আর্থিক সচ্ছলতার স্বার্থে পরিবারের একজনকে চাকরি প্রদান করতে হবে। একই পরিপ্রেক্ষিতে অদূর ভবিষ্যতে অডিটোরিয়াম তৈরির যাবতীয় ব্যবস্থা নিয়ে সেটির নামকরণ শহীদ আবু সাঈদ করতে হবে। আবু সাঈদ হত্যার সাথে জড়িত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অপরাধীদের শনাক্ত করে, তাদের যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।

নিরাপরাধ আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলার সাথে জড়িত শিক্ষক, কর্মকর্তাদের বরখাস্তসহ, হামলাকারী ছাত্রলীগ কর্মীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হবে এবং যথাযথ তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে সকলকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। মেধা, আর্থিক অসচ্ছলতার ভিত্তিতে নিয়মতান্ত্রিকভাবে হলে শিক্ষার্থীদের আবাসন সুবিধা প্রদান করতে হবে, অবৈধভাবে সিট দখলকারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং যেকোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে প্রশ্রয় না দিয়ে শক্ত হাতে দমন করতে হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের কোনো রকমের একাডেমিক, রাজনৈতিক, প্রশাসনিক বা আইনিভাবে হেনস্তা করা যাবে না এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। যারা আন্দোলনে আহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

এ প্রসঙ্গে বেরোবির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাসিবুর রশীদ বলেন, পদত্যাগ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নাই। অন্য দাবিগুলো আমরা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করব।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর