৭ আগস্ট, ২০২৪ ২১:২১
স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে ক্যাম্পাস

জাবি উপাচার্য, প্রক্টর ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ

জাবি প্রতিনিধি :

জাবি উপাচার্য, প্রক্টর ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ

জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম

শেখ হাসিনা পদত্যাগপূর্বক দেশত্যাগের পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাসে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে আজ বুধবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯টি আবাসিক হল খুলে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া আগামী রবিবার (১১ আগস্ট) থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগে নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বুধবার সকালে অনলাইনে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে রেজিস্ট্রার আবু হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে জানানো হয়েছে। ওই অফিস আদেশে বলা হয়, আজ থেকে জাবির সবগুলো আবাসিক হল খুলে দেওয়া হবে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বৈধ শিক্ষার্থী তাদের পরিচয়পত্র প্রদর্শনপূর্বক স্ব স্ব হলে উঠতে পারবেন। এছাড়া, এতে আগামী ১১ আগস্ট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগে নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম (উইকেন্ড ও ইভিনিং প্রোগ্রাম ব্যাতীত) চালুর লক্ষ্যে স্ব স্ব বিভাগের শিক্ষকদের অনুরোধ করা হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রাখতে হলগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। আর আগামী রবিবার থেকে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হবে। 

এর আগে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত ১৭ জুলাই এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। ওইদিন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে শতাধিক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। তাদের অনেকে এখনো চিকিৎসাধীন। এরপর গতকাল হলগুলো খুলে দেয় কর্তৃপক্ষ।

এদিকে কোটা আন্দোলন পরবর্তীতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের মধ্যে তাদের দায়িত্ব থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের হিড়িক শুরু হয়েছে। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম। আজ বুধবার রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে ই-মেইলযোগে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।

পদত্যাগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আপনার আদেশক্রমে আমাকে গত ১৩ সেপ্টেম্বর স্মারকের পত্রের মাধ্যমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছিল এবং সে অনুসারে আমি আমার দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ সচেষ্ট ছিলাম। বর্তমানে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে আমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে পদত্যাগ করলাম। বর্ণিত অবস্থায় আমার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার জন্য আপনাকে বিনীত অনুরোধ করছি।’

এছাড়া, পদত্যাগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির চুক্তিভিত্তিক রেজিস্ট্রার আবু হাসান, প্রক্টর ও শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ হলের প্রাধ্যক্ষ  অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর কবির এবং ফজিলাতুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ মুহাম্মদ ছায়েদুর রহমান। এক্ষেত্রে প্রক্টর হিসেবে সহকারী প্রক্টর ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক মো. রুবেলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, তাজউদ্দীন আহমদ হলের প্রাধ্যক্ষ হিসেবে দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুস ছাত্তারকে এবং ফজিলাতুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ হিসেবে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আফসানা হককে সাময়িক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বিডি-প্রতিদিন/শআ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর