২৯ আগস্ট, ২০২৪ ০১:৪১

ঢাবিতে গণত্রাণ : এক সপ্তাহে ৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা সংগ্রহ

খরচ ৭১ লাখ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

ঢাবিতে গণত্রাণ : এক সপ্তাহে ৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা সংগ্রহ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে গণত্রাণ কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সপ্তাহে উত্তোলন হয়েছে ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭৬ হাজার ২৭৮ টাকা। এর মধ্যে গুড়, খেজুরসহ খাবার এবং প্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে খরচ হয়েছে ৭১ লাখ ২০ হাজার ৬৪৪ টাকা।

বুধবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমম্বয়ক আব্দুল কাদের এই তথ্য জানান।

তিনি জানান, ২২ থেকে ২৮ আগস্ট রাত ৯ টা পর্যন্ত নগদ ৬ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ১০০ টাকা সংগ্রহ হয়েছে। এছাড়া, এই সময়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৮৩ লাখ ৮৮ হাজার ৩৮৮ টাকা এবং ব্যাংকিং মাধ্যমে ২৬ লাখ ৩৭ হাজার ৭৯০ উত্তোলন হয়েছে।

এই টাকা থেকে ইতোমধ্যে ১৮ লাখ ১৫ হাজার ২০০ টাকার খেজুর, ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৩৪০ টাকার মুড়ি, ১ লাখ ৯০ হাজার ৩০০ টাকার বিস্কুট, ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার চিনি, ১৮ লাখ ২৫ হাজার ১৫৭ টাকার চিড়া, ৫ লাখ ৯৭ হাজার ৯৪৮ টাকার গুড়, ৪৫ হাজার ৫০ টাকার দড়ি, কাটার, কলম ও মাইক্রোফোন, ৩ লাখ ৩০ হাজার ৫০৫ টাকার পলিথিন, ৫ লাখ ২৬ হাজার ৪৮০ টাকার বস্তা, ৪ লাখ ৮৩ হাজার টাকার কয়েল ও মোবাতি কেনা হয়েছে। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবকদের দুপুর ও রাতের খাবারের জন্য ৩ লাখ ৯২ হাজার ৬৪৫ টাকা, রিকশা ও ভ্যান ভাড়া ৬৫০ টাকা এবং গাড়ির সাথে স্বেচ্ছাসেবকদের পেছনে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে বলে জানানো হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমম্বয়ক লুৎফর রহমান জানিয়েছেন, মোট সংগৃহীত অর্থের মধ্যে ৫ কোটি ৮৪ লাখ ১৭ হাজার ১৪৭ টাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোনালী ব্যাংক শাখায় জমা দেওয়া হয়েছে।

সমম্বয়ক আবু বাকের মজুমদার জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি থেকে সংগ্রহীত এবং ক্রয়কৃত সামগ্রী ব্যবহার করে একটি পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার এবং ওষুধের প্যাকেজ তৈরি করা হয়। এরকম ৮০০ থেকে ১২০০ টি প্যাকেজ ও ২০ থেকে ৩০ কেস পানি দিয়ে একটি ট্রাক লোড করা হয়। ২২ আগস্ট থেকে ২৮ আগস্ট রাত ৯ টা পর্যন্ত এরকম ৮২ ট্রাকের মাধ্যমে এক লক্ষের অধিক মানুষের কাছে ত্রাণ সহায়তা পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে ৪ হাজার প্যাকেজ হেলিকপ্টারযোগে বন্যাকবলিত দুর্গম অঞ্চলগুলোতে বণ্টন করা হয়েছে। এছাড়াও ৫ লাখ ৯৬ হাজার ৫০০ টাকা নগদ অর্থ সহায়তা দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের গণ রান্না কর্মসূচি স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় কুমিল্লার ৪ উপজেলা ও খুলনার পাইকগাছায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং বৃহস্পতিবার থেকে এটি অন্যান্য বন্যাকবলিত জেলায়ও একই রকম কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর