১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ২০:৫৫

ঢাবিতে ভাসমান দোকান উচ্ছেদ

ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাবিতে ভাসমান দোকান উচ্ছেদ

ঢাবিতে ভাসমান দোকান উচ্ছেদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্যাম্পাস এলাকায় অবস্থিত সকল ভাসমান দোকান উচ্ছেদ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

মঙ্গলবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এস্টেট অফিস, প্রক্টরিয়াল টিম ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে অবস্থিত সকল চা, সিগারেটসহ সকল ভাসমান দোকান উচ্ছেদ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের কর্মচারীরা। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদসহ প্রক্টরিয়াল বডির অন্যান্য সদস্য। মূলত এ অভিযান পরিচালনা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এস্টেট ম্যানেজার ফাতেমা বিনতে মুস্তাফার তত্ত্বাবধায়নে। 

সরে জমিনে দেখা যায়, টিএসসির দোকানসমূহ উচ্ছেদের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানায় থাকা রাস্তায় সকল উদ্বাস্তু, দোকান উচ্ছেদ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। টিএসসি হয়ে কার্জন হলের সম্মুখে থাকা ফুলের দোকান, খাবারের দোকান উচ্ছেদ করা হয়। এরপর শহিদুল্লাহ হল হয়ে ঢাকা মেডিকেল দিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে এ উচ্ছেদ অভিযান শেষ হয়।

ভাসমান দোকানের বিষয়ে এস্টেট ম্যানেজার ফাতেমা বিনতে মোস্তফা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সকল স্থানে দোকানের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, প্রক্টর এই ব্যাপারে দোকান সমূহের একটি তালিকা তৈরি করবেন। সেটি সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদিত হওয়ার পরই ক্যাম্পাসে নতুন দোকানের অনুমোদন দেওয়া হবে। এর আগ পর্যন্ত সকল অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করবে প্রশাসন।

উচ্ছেদ অভিযানের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থিত সকল ভাসমান ও অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করেছি।

টিএসসির চায়ের দোকান উচ্ছেদের বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে সকল দোকান তুলে দিয়েছি। তবে, টিএসসিতে পরবর্তীতে কিছু দোকান বসানো হবে। সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা ও দোকানিদের আবেদনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক বরাদ্দকৃত দোকানগুলোই টিএসসিতে বসতে পারবে। সেক্ষেত্রে দোকানগুলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ভাড়া প্রদান করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জমিতে সিটি করপোরেশনের অবৈধ অফিস উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার সময় শহিদুল্লাহ হলের পাশে একটি নির্মাণাধীন ভবন দেখা যায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভবনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমিতে কোনও ধরনের অনুমোদন ছাড়াই তৈরি করা হচ্ছে। এসময় কয়েকজন নির্মাণ শ্রমিককে পাওয়া গেলেও কাদের তত্ত্বাবধায়নে এ ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছে সেটি জানাতে পারেননি তারা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট ম্যানেজার ফাতেমা বিনতে মুস্তাফা ভবনটির নির্মাণ কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন। এরপাশের আরেকটি অবৈধ ভবনে ঢুকে দেখা যায়, সেখানে টাইলস করা বাসা। বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে সেখানে বাসা ভাড়া দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।

বিডি প্রতিদিন/একেএ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর