১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৩:১৯

ভিসি ও প্রো-ভিসি নিয়োগের প্রজ্ঞাপন দাবিতে চবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান

চবি প্রতিনিধি

ভিসি ও প্রো-ভিসি নিয়োগের প্রজ্ঞাপন দাবিতে চবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় ভিসি নিয়োগ না হলে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে হুঁশিয়ারি জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।   

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে মূল ফটকের সামনে এ কর্মসূচি পালন করে তারা। 

এ সময় শিক্ষার্থীদের ‘ভিসি নিয়ে নয়-ছয়, আর নয় আর নয়,’ ঢাবি রাবি ভিসি পেল, চবি কেন পিছিয়ে গেল’, ‘আর নয় বিজ্ঞাপন, দিতে হবে প্রজ্ঞাপন’, ‘ঢাবি রাবি স্বর্গে, চবি কেন মর্গে’, ‘শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য, ভিসি হবে দক্ষ’, ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। 

মানববন্ধনে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘আমরা ক্লাসে যাওয়ার জন্য মুখিয়ে আছি কিন্তু এখনো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। আমরা কি আন্দোলনই করে যাব শুধু? আমাদের সাথে এই প্রজ্ঞাপনের খেলা বন্ধ করুন। দ্রুত ভিসি, প্রো-ভিসি নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করুন।’

আরেক শিক্ষার্থী শ্রাবণ বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্যসকল স্বায়ত্ত্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগ দেওয়া হলেও আমরা এখনো ভিসি পাইনি। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ অতিসত্বর ভিসি নিয়োগ দিয়ে একাডেমিক কার্যক্রম চালু করার। আমরা শিক্ষার্থী, আমাদের জায়গা হচ্ছে পড়ার টেবিলে। আমাদেরকে পড়ার টেবিলে ফিরিয়ে নিন।’

মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার ভিসি নিয়োগের একটি গুঞ্জন শোনা যায়।  রবিবার ভিসি নিয়োগের প্রজ্ঞাপন আসার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত আসেনি। আমাদের সাথে এই প্রজ্ঞাপন, প্রজ্ঞাপন খেলা বন্ধ করুন। ভিসি নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই কর্মসূচি চলবে।’

মানববন্ধন থেকে শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘যদি আজকের (১৭ সেপ্টেম্বর) মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি, প্রো-ভিসি নিয়োগ না দেওয়া হয় তাহলে আগামীকাল বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।’

প্রসঙ্গত, গত ১২ আগস্ট শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু তাহেরসহ প্রক্টরিয়াল বডি, সকল হলের প্রভোস্ট পদত্যাগ করেন। এরপর থেকে ১ মাসের উপরে উপাচার্যহীন রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। ফলে ব্যাহত হচ্ছে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। এজন্য দ্রুত উপাচার্য, উপ-উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে গত ৮ সেপ্টেম্বর (রবিবার) থেকে ৫ম দিনের মতো টানা আন্দোলন করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর