৪ অক্টোবর, ২০২৪ ০১:২৫

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে আটক জাবির শিক্ষক

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে আটক জাবির শিক্ষক

প্রতীকী ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে আটক হয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ আহমদ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ১৭ জুলাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার মদদদাতা হিসেবে এ শিক্ষককে আটক করেন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের নিচে ডেপুটি রেজিস্ট্রার শাহানা আক্তারের রুম থেকে তাকে আটক করেন শিক্ষার্থীরা। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা থাকায় পরবর্তীতে তাকে কোতোয়ালী থানায় সোপর্দ করা হয়।

আটকের বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী তাওহিদ ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি আসলে আমরা তাকে চিনতে পারি। শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলায় সহযোগিতা করায় তার বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা আছে। আমরা তাকে কোনো কিছু না করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করি।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, শিক্ষার্থীরা তাকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যম্পাসে আটক করে আমাদের কাছে সোপর্দ করে। তার বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায়। তিনি এখন আমাদের হেফাজতে আছেন। আশুলিয়া থানা যদি তাকে গ্রেফতার দেখায় তাও করতে পারে। অন্যদিকে তাকে গ্রেফতারের বিষয়ে আমরাও যদি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ পাই, তাহলে গ্রেফতার করে আদালতের কাছে সোপর্দ করব।

জানা যায়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৫ জুলাই ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলা ও ১৭ জুলাই পুলিশি হামলার মদদ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। গত ১৭ জুলাই বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কথোপকথন ফাঁস হলে দেখা যায়, ফরিদ উদ্দিন শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘আরেকটু অপেক্ষা করুন রাজাকারদের পরাজয় আসন্ন।’ 

শেখ হাসিনার পতনের পর গত ১৮ আগস্ট ফরিদ উদ্দিনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করে তার বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

এর আগে, গত ১৫ জুলাই রাতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য নুরুল আলমকে প্রধান করে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদুল ইসলাম। মামলায় হামলার মদদ দেওয়ার অভিযোগে ফরিদ উদ্দিনকে ৭ নম্বর আসামি করা হয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর