প্রযুক্তির দৌড় বাড়ছে, বাড়ছে উচ্চশিক্ষায় এর পরিসরও। বর্তমানে অবস্থাটা এমন হয়ে দাঁড়াচ্ছে যে, জুতো সেলাই থেকে চন্ডীপাঠ— সবখানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দখলদারি। এ বিষয়টিকে অনুধাবন করেই বাংলাদেশে প্রথমবারের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ডাটা সায়েন্সে স্নাতক কোর্স চালু করতে যাচ্ছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। পাশাপাশি একই সময়ে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ চালু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাইফুল আজাদ, রেজিস্ট্রার ক্যাপ্টেন (নেভি) শেখ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, এলপিআর এবং এআই অ্যান্ড ডাটা সায়েন্স বিভাগের চেয়ারপার্সন ড. মুহাম্মদ আবুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন বলেন, এআইয়ের মাধ্যমে মানুষের জ্ঞানকে মেশিনের মধ্যে ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা হচ্ছে। ফলে প্রযুক্তি আরও উন্নত হয়েছে, মানুষের উৎপাদন ক্ষমতা বেড়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই পাঠাও-উবার’ ব্যবহার করি, কিন্তু জানিনা এই অ্যাপগুলো কীভাবে কাজ করে। এআই গ্র্যাজুয়েটরা এসব বিষয় নিয়েই কাজ করবে। তারা কম্পিউটার বিজ্ঞানের গভীর থেকে গভীরতর স্তরে প্রবেশ করবে।সভার শুরুতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সির এবং এর ওপর স্নাতক কোর্স চালুর বিষয়ে তুলে ধরেন এআই অ্যান্ড ডাটা সায়েন্স বিভাগের চেয়ারপার্সন ড. মুহাম্মদ আবুল হাসান। তিনি বলেন, এই ধরে নেওয়া হয়েছে, আগামীতে যদি ৪র্থ শিল্প বিপ্লব, ৫ম শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়, তবে সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য এআই অবশ্যম্ভাবী।
বিডি প্রতিদিন/এএ