প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে শাখা ছাত্রদল আয়োজিত মানববন্ধনে দেয়া বক্তব্যের জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানকে ‘তথাকথিত আন্দোলন’ এবং ‘সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাজনীতির ‘র’-ও বুঝে না’ অংশ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার প্রেক্ষিতে দুঃখপ্রকাশ করেছেন ঢাবি ছাত্রদল সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস।
সোমবার রাত ১১টার দিকে নিজের ফেসবুকে এক বিবৃতি দিয়ে বক্তব্যের দুটি অংশ অসাবধানতাবশত বলেছেন বলে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় বলেন, ছাত্রদল নেতা পারভেজ হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে আমার দেয়া বক্তৃতার দুইটি অংশ নিয়ে আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা লক্ষ্য করছি। আমি বলতে চেয়েছিলাম যে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অনেক সময় রাজনীতির অনেক বিষয় নিয়ে মাথা ঘামায়নি কেননা ফ্যাসিবাদের আমলে সে পরিবেশ ছিলো না। কিন্তু অসাবধানতাবশত বলে ফেলেছি সাধারণ শিক্ষার্থীরা অনেক সময় রাজনীতির ‘র’ নিয়েও মাথা ঘামায় না। আমি আমার বক্তব্যে অসাবধানতাবশত এ বাক্যটি বলেছি।
তিনি বলেন, আমি এ বাক্য দ্বারা কখনোই সাধারণ শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক সচেতনতা বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক সচেতনতা নিয়ে কখনোই প্রশ্ন তুলিনি এবং আমি আমার পুরো রাজনৈতিক জীবনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে এরকম মনোভাব কখনো কোথাও পোষণ করিনি। বরং আমি সাধারণ শিক্ষার্থীদের সেন্টিমেন্ট ধারণ করি এবং আজীবন তা ধারণ করার জন্য বদ্ধপরিকর।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমার এই কথায় কেউ মনোক্ষুণ্ণ হয়ে থাকলে, তাদের প্রতি আমি আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি।
একই সঙ্গে বক্তব্যের আরেকটি অংশে তিনি ‘তথাকথিত’ শব্দটি ব্যবহার করে ‘জুলাই-আগস্টের আন্দোলন’ প্রসঙ্গে অসাবধানতা প্রকাশ করে বলেন, এই বিষয়ে আমি অত্যন্ত দুঃখিত। আমার আরও বেশি সচেতন হতে হবে। আমার অনাকাঙ্ক্ষিত এই কথাটি সেই আবেগের জায়গায় যদি আঘাত দিয়ে থাকে আমি সকলের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।
তিনি বলেন, আমি আশা রাখবো আমরা সকলে মিলে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে আরো অধিক পরিমাণে রাজনীতি সচেতন হবো এবং গঠনমূলক সমালোচনা ও তার যুক্তিযুক্ত জবাবের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক রাজনীতির সুস্থ চর্চাকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল