শনিবার, ২৩ মে, ২০১৫ ০০:০০ টা

পরিবহননির্ভর ক্যাম্পাস

পরিবহননির্ভর ক্যাম্পাস

শতভাগ আবাসিকতার 'মাস্টার প্ল্যান' নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে প্রতিষ্ঠার ৩৫ বছর পর সে স্বপ্ন এখনো স্বপ্নই রয়ে গেছে। বর্তমানে ১৪ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য আবাসিক হল রয়েছে মাত্র ৭টি। ক্যাম্পাসে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্যও আবাসন ব্যবস্থা খুবই সীমিত। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালটি কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ শহর থেকে যথাক্রমে ২৪ ও ২২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং ক্যাম্পাস আশপাশে শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত আবাসন নেই। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়টি সম্পূর্ণ পরিবহন ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিবহন ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীলতার কারণে হরতাল বা অবরোধের কারণে গাড়ি বন্ধ থাকলে ক্যাম্পাসও বন্ধ থাকে। ফলে অঘোষিতভাবে ক্লাস পরীক্ষাও বন্ধ হয়ে যায়। এতে অধিকাংশ বিভাগে সেশন জটের তীব্র থেকে তীব্রতর আকার ধারণ করছে।

এছাড়া পরিবহননির্ভর হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের কাছে জিম্মি। ছোটখাটো সমস্যাকে পুঁজি করে পরিবহন মালিকরা প্রশাসনের ওপর কর্তৃত্ব খাঁটিয়ে থাকে। নিজস্ব পরিবহনের অপ্রতুল থাকায় ভাড়ায় চালিত পরিবহন না চললে ক্যাম্পাস অচল থাকে। পরিবহন মালিকরা সুযোগ পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অযৌক্তিক দাবি পেশ করে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাধ্য হয়ে তাদের অনৈতিক যাবতীয় দাবি মানতে বাধ্য হয়। তাছাড়া কখনো চাকরি প্রত্যাশীরা চাকরি দাবিতে, সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরাও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ইস্যুতে, স্থানীয়রা তাদের প্রভাব বিস্তার করতে সময়ে অসময়ে ক্যাম্পাসের গাড়ি বন্ধ করে দেয়। ফলে যখন তখন ক্যাম্পাস অচল হয়ে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিবহন খাতে মোটা অঙ্কের অর্থ ব্যয় করলেও শিক্ষার্থীরা তাদের নায্য সুযোগ সুবিধা পায় না। পরিবহন মালিকরা তাদের ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও অদক্ষ চালক দিয়ে ক্যাম্পাসে পরিবহন সরবরাহ করে থাকে। এসব গাড়ি মাঝপথে গিয়ে বিকল হয়ে পড়ে। এখনো শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি ক্যাম্পাসকে একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করা।

 

সর্বশেষ খবর