রবিবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

কাজের ফাঁকে স্ট্রেস রিলিফ

ক্যারিয়ার ডেস্ক

কাজের ফাঁকে স্ট্রেস রিলিফ

প্রথমেই বলে রাখা ভালো, স্ট্রেস মানেই কিন্তু খারাপ নয়। অফিস হোক বা বাড়ি, কাজে গতি আনতে কিছুটা স্ট্রেস জরুরি। সঠিক পরিমাণে চাপ থাকলে কাজের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় ডেডলাইনের তাড়া, বস এবং সহকর্মীদের চাপ, একটানা অনেক কাজ করার ফলে শরীর এবং মন দুই-ই স্ট্রেসড হয়ে পড়ে। এ সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলে প্রথমেই বুঝতে চেষ্টা করুন আপনার দৈনন্দিন কাজের ঠিক কোন দিকটা আপনাকে বেশি স্ট্রেসড করে তোলে। যখন একসঙ্গে অনেক কাজ আপনার টেবিলে এসে ভিড় জমায়? যখন টার্গেটের খাঁড়া মাথার উপর ঝুলতে থাকে? নাকি যখন সহকর্মীদের কাছ থেকে ভালো ব্যবহার পান না?

সঠিক কারণটা পিনপয়েন্ট করতে পারলে, সমাধান সহজেই হবে। তবে সমস্যা যাই হোক না কেন স্ট্রেস রিলেটেড ডিজঅর্ডার মোকাবিলা করার জন্য অবশ্যই কাজ গুছিয়ে করুন। কাজের মান উন্নত হয় টিম মেম্বার হিসেবে কাজ করতে হলে গুছিয়ে কাজ করার সঙ্গে পজিটিভ অ্যাটিচিউড ডেভেলপ করা খুবই জরুরি। অন্যদের সঙ্গে মানিয়ে চলতে গেলে রাগ, অভিমান, ভয়ের মতো আবেগগুলো একটু নিয়ন্ত্রণে আনতেই হবে। টিমের মধ্যে পজিটিভনেসের সুবাতাস ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সবার সঙ্গে আলোচনা, গঠনমূলক সমালোচনা আর মন খুলে ভালো কাজের প্রশংসা করতে পারলে শারীরিক-মানসিক চাপ কমবে। প্রত্যেকেরই কিছু বিশেষ স্ট্রেস সিমটম থাকে। অর্থাৎ চাপের সময় শরীর-মনে কিছু পরিবর্তন দেখা দেয় যেমন মাথা ধরা, ক্লান্ত, বিরক্তি, গুটিয়ে যাওয়া ইত্যাদি। যখনই এই লক্ষণগুলো দেখা দেবে তখনই বুঝতে হবে এবার একটা ছোট্ট ব্রেকের সময় হয়েছে। বড়জোর ৫-১০ মিনিট নিজেকে কাজ থেকে সরিয়ে নিন। অফিসের বাইরে একটু হেঁটে আসতে পারেন। ঠাণ্ডা পানি বা ডাবের পানি খেতে পারেন। কোনো বন্ধুর সঙ্গে কোনো হালকা গল্প-গুজবও করতে পারেন। অফিস থেকে বেরুনো সম্ভব না হলে সিটে বসেই কিছুক্ষণ মোবাইলে বা আইপডে গান শুনুন। একটু চেয়ারে বসে একটু স্ট্রেসিং এক্সারসাইজ করে কাজে ফিরে আসুন। অনেক সময় আমাদের কিছু নিজস্ব সমস্যা মানসিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। হাতে যতটা সময় তার থেকে বেশি কাজের কমিটমেন্ট নিয়ে ফেলা, প্রত্যেকটা কাজ অনেক সময় নিয়ে নিখুঁত করে করার চেষ্টা, সব কাজ একা করার ইচ্ছা ইত্যাদি অনেক সময় স্ট্রেস বাড়িয়ে তোলে।

এ ধরনের সমস্যার জন্য যদি বারবার সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে নিজেকে বদলানোর চেষ্টা করুন। যাদের ডেডলাইন নির্ভর কাজ করতে হয়, তাদের ‘না’ বলতে শেখা খুবই জরুরি। সবকিছু একা করা বা নিখুঁতভাবে করতে পারা বাস্তবসম্মত নয়। হেলদি ইটিং এবং এক্সারসাইজ হেলদি লিভিংয়ের সঙ্গে জড়িত— এটা মনে রাখতে হবে।

কি করবেন : জব লিস্ট মিলিয়ে কাজ করার চেষ্টা করুন। গুছিয়ে কাজ করলে স্ট্রেস কম হয়।  িএকটানা কাজ করবেন না। আধা ঘণ্টা কাজ করার পর অন্তত ৫ মিনিটের ব্রেক নিন। এই সময়ে করিডরে পায়চারি করুন বা গোটাকয়েক সিঁড়ি ভাঙুন। এ সামান্য এক্সারসাইজ আপনার সামগ্রিক স্ট্রেস লেভেল কমাতে সাহায্য করবে। ছোটখাটো ব্যাপারে মাথা গরম করে ফেলবেন না।

 ইতিবাচক মনোভাবাপন্ন সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত ইন্টার‌্যাক্ট করুন।

সর্বশেষ খবর