বিজনেস বা টেকনিক্যাল গ্রাজুয়েটদের কোনো প্রতিষ্ঠানে খণ্ডকালীন সময়ে কোনো একটি বিষয়ে কাজ করাকে ইন্টার্নশিপ বলা হয়। ইন্টার্নশিপ হলো পড়াশোনার একটি অন্যতম অংশ। কারণ ইন্টার্নশিপ রিপোর্টে জমা দেওয়ার পরই একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চূড়ান্ত সনদ পায়। দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে ইন্টার্নশিপ যে বাধ্যতামূলক তা নয়। একেক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম-কানুন একেক রকম। এমবিএ প্রোগ্রাম ইন্টার্নশিপ সম্পর্কে মতপার্থক্য থাকলেও আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামে কয়েকটি বিষয়ে ইন্টার্নশিপ মোটামুটি বাধ্যতামূলক। প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই সময়ে অনেক চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান শিক্ষানবিসদের প্রাধান্য দিতে শুরু করেছে। ফ্রেশ ইনপুট হিসেবে এরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাজকর্ম ভালোভাবে আয়ত্ত করে বলেই এখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম চালু রয়েছে।
ইন্টার্নশিপ বেনিফিট : যারা ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে, তারা তো বটেই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারও সমভাবে উপকৃত হন। ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের যাচাই-বাছাইয়ের যথেষ্ট সুযোগ থাকে। ফলে স্থায়ীভাবে রিক্রুটমেন্টের সময় যারা ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামে অংশ নেন তাদের মধ্যে যারা চাকরির সুযোগ পান তারা সত্যিকার অর্থে কোম্পানির ভালোমন্দ সম্পর্কে নতুনদের চেয়ে অনেক বেশি বোঝেন।
ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামের করণীয় : ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীদের বেশ কয়েকটি ব্যাপারে মনোনিবেশ করতে হয়। এ ব্যাপারগুলো ভালোভাবে রপ্ত করতে পারলে ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামকে সফল বলা হয়।
উদ্দেশ্য : কিছু কিছু ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম আছে যেগুলো আসলেই স্ট্রাকচার। সুতরাং ইন্টার্নশিপ শুরুর আগে শিক্ষার্থীদের উচিত কোনো ক্ষেত্রে সে দক্ষতা অর্জন, নতুন কিছু আয়ত্ত এবং নেটওয়ার্ক তৈরি করতে চায়। এখানে একটি কথা না বললেই নয়, তা হলো— এমন কিছু আশা করা উচিত নয় যা অর্জন করা সম্ভব নয়।
সুপারভাইজারের সঙ্গে প্রত্যেক দিন মিটিং : ইন্টার্নশিপের সময় একজনের অধীনে বা তত্ত্বাবধানে ইন্টার্নশিপ করতে হয়। সুতরাং সুপারভাইজারের সঙ্গে সদ্ভাব রাখতে হবে। যে কোনো আইডিয়া শেয়ারিংয়ে সুপারভাইজারের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত। এতে সুপারভাইজারের সঙ্গে একটা ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়।
নিজেকে হাইলাইট করা : প্রতিটি ইন্টার্নশিপ মূলত একটি নির্দিষ্ট ডিপার্টমেন্ট, সুপারভাইজার এবং শিক্ষানবিসদের চক্রে আবদ্ধ থাকে। এগুলোর বাইরে নিজেকে কোম্পানির মিটিং, অন্য ডিপার্টমেন্টের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং কোম্পানির সোস্যাল ইভেন্টে অংশগ্রহণ করতে হবে। নিজের আইডিয়া যত বেশি অন্যের সঙ্গে শেয়ার করা যায় তত শেখা যায়।
উদ্যোগ নিতে হবে : কোম্পানির কর্তৃপক্ষ সেসব কর্মীকে পছন্দ করে যারা যে কোনো অবস্থায় কার্যকরী উদ্যোগ নিতে পারে। সুতরাং নিজেকে প্রমাণ করতে হবে আপনি কোম্পানির জন্য কিছু করতে পারেন। শুধু কাজের মাধ্যমে আপনি যে কোনো কোম্পানির আস্থাভাজন হতে পারেন।
মেনটরকে খুঁজে বের করতে হবে : মেনটর হলো
এমন ব্যক্তি যিনি তার অধীনস্থ কর্মীদের সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে জ্ঞাত থাকেন। মেনটর বুঝবেন কর্মীদের চাহিদা এবং সে অনুযায়ী সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করতে দিকনির্দেশনা দেবেন। অফিস পলিটিকস থেকে মুক্ত রাখতে মেনটর কাজ করবে। সুতরাং খুঁজে বের করতে হবে আসল মেনটর। ইন্টার্নশিপের জন্য সুপারভাইজার মেনটর হতে পারেন।