কভার লেটার খুব সহজেই আপনার পরিচয় দেবে আর সেই সঙ্গে বলবে আপনি কেন চাকরির বাজারে সঠিক প্রার্থী। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, কভার লেটার বিজ্ঞাপন মাধ্যম এবং আপনার কারিক্যুলাম ভিটার মধ্যে লিঙ্ক তৈরি করবে। আপনি যদি আশা করেন আপনার পার্সোনাল এজেন্ট স্মার্ট ড্রেস পরবে যেন তাকে দর্শনধারী এবং প্রফেশনাল মনে হয় সেরকমই কভার লেটার দেখতে স্মার্ট এবং প্রফেশনাল হওয়া চাই। তাই সাদা মসৃণ কাগজে সুন্দর টাইপ করা অক্ষরে এটা তৈরি করতে হবে। কভার লেটারে অবশ্যই আপনার সঙ্গে যোগাযোগের ঠিকানার পাশাপাশি যে প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য আবেদন করবেন তার নাম-ঠিকানা এবং চাকরির রেফারেন্স অর্থাৎ কোন সূত্র থেকে আপনি
এ চাকরির খোঁজ পেয়েছেন তা লিখতে হবে। চেষ্টা করতে হবে কোনো নাম বরাবর কভার লেটার লিখতে। সূত্রে যদি তা উল্লেখ না থাকে তাহলে প্রতিষ্ঠানে ফোন করে জেনে নিতে হবে ওই ব্যক্তির নাম। তার সঙ্গে তার পদবিও লিখতে হবে। প্রথম প্যারায় লিখতে হবে আপনি কী কী সংযুক্ত করছেন। এটা প্রমাণ করবে যে আপনি কাজের ক্ষেত্রে সংগঠিত এবং কার্যকর। পরের প্যারায় ফোকাস করতে হবে যে আবেদন করছেন তার সম্পর্কে। এরপর কীভাবে শিক্ষাগত যোগ্যতা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা এ চাকরির সঙ্গে মেলে। তবে কভার লেটারে সংক্ষিপ্ত আকারে লিখে সিভিতে বিস্তারিত লিখতে হবে।
সবচেয়ে বড় কথা কভার লেটার বাহ্যিক সৌন্দর্যের প্রতিফলন। এর মাধ্যমে ছোট এবং কঠিন বিষয়কে খুব সহজেই কারও সামনে উপস্থাপন করা যায়। করা যায় শৌল্পিক।