সিলেট মহানগরের পাঠানটুলার পল্লবী আবাসিক এলাকার সি-২৫নং বাসার পৃথক দুটি কক্ষ থেকে গত ৬ নভেম্বর স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। তখন স্ত্রীর লাশের পাশে পড়েছিলো ‘পাপের কথা’ লেখা শিরোনামের ‘রহস্যময়’ একটি চিরকুট।
ঘটনার এক সপ্তাহ হতে চললেও সেই চিরকুটের রহস্যজট খুলতে পারেনি পুলিশ। তবে পুলিশের দাবি- চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা।
গত ৬ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে ওই বাসার দুটি কক্ষ থেকে সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাগ ইউনিয়নের রাজাবাজ গ্রামের রুকুনি তালুকাদেরর ছেলে রিপন তালুকদার ও তার স্ত্রী শিপা দাসের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি নির্ণয় দাসের মেয়ে। তারা পল্লবী আবাসিক এলাকার ধীরেন্দ্র দের ওই বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছিলেন। এই দম্পতির দুই বছর বয়সী একটি শিশু সন্তান রয়েছে।পুলিশ জানায়, শিপা দাসের লাশের পাশ থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়। এতে লেখা ছিল- ‘আমার পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেছি, তোমরা আমার সন্তানকে খেয়াল রেখো।’ কিন্তু চিরকুটটি রিপন নাকি শিপা লিখেছেন, তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। আর কোন ‘পাপের’ কথা লেখা হয়েছে সেটিও স্পষ্ট নয়।
এ বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা খান বলেন, আমরা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি লেখাটা কার। পরিচিত সবাইকে লেখাটি দেখানোর পর তারাও শনাক্ত করতে পারছে না। তাই এক্সপার্টদের শরণাপন্ন হতে হয়েছে। শিগগিরই জানা যাবে, লেখাটি কার।
এক প্রশ্নের জাবে তিনি আরও বলেন- ধারণা করা যাচ্ছে- দুজনের মধ্যে কোনো একজনের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিলো। তাদের মোবাইল ফোন নিয়ে কাজ করছে পুলিশ। আর দুজনই আত্মহত্যা করেছেন নাকি অন্য কোনো ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়টি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বলা যাবে।’
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ