২৬ ডিসেম্বর, ২০২২ ২০:৫৪

গণশুনানিতে উঠে এলো ওসমানী বিমানবন্দরে ‘যাত্রী হয়রানির’ চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

গণশুনানিতে উঠে এলো ওসমানী বিমানবন্দরে ‘যাত্রী হয়রানির’ চিত্র

গণশুনানিতে উঠে এলো ওসমানী বিমানবন্দরে ‘যাত্রী হয়রানির’ চিত্র

গণশুনানি উঠে এসেছে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ‘যাত্রী হয়রানির’ চিত্র। আজ সোমবার এ গণশুনানির আয়োজন করেছিলো বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

যাত্রী হয়রানি লাঘবসহ আরও উন্নত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে এদিনে বেলা ১১টায় বিমানবন্দরের কনফারেন্স হলে এর আয়োজন করা হয়।

গণশুনানিতে অংশগ্রহণকারীদের তুলে ধরা অভিযোগ শুনেন ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরিচালক মো. হাফিজ আহমদ।

অংশগ্রহণকারীরা বলেন, অন্যান্য দেশের বিমানবন্দরের মতো আমাদের দেশেও বিমানবন্দরগুলোতে উষ্ণ আতিথেয়তা লক্ষ্য করা যায়। তবে আরেকটু ভালো ব্যবহার সকলেই আশা করেন। কেননা, সবাই একজন যাত্রীর লাগেজ চেক করবেন, এটা হতে পারে না। তদারকির নামে যেন এ বিমানবন্দরে যাত্রীদের হয়রানি করা হচ্ছে। 

নাম প্রকাশ না করে এক যাত্রী বলেন, ব্রিটেনে তার ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া দুই ছেলেকে নিয়ে দেশে বেড়াতে আসেন। আজ যখন বিমানবন্দরে প্রবেশ করছিলেন, তখন দারোয়ান তাদের আটকে রাখেন। তখন তিনি বলেন, তাদের দেখে কি যাত্রী মনে হয় না? তিনি সঙ্গে থাকার পরও তাদের হয়রানি করা হয়। বিমানবন্দরে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যেন না হয়, সে বিষয়ে অনুরোধ জানান তিনি।

সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাব সভাপতি মুহিত চৌধুরী বলেন, বিমানের ভাড়া হঠাৎ করে বাড়িয়ে দেওয়া হয়। উদাহরণ টেনে বলেন, ১০০ টাকার ভাড়া ১৫০ হতে পারে। তাই বলে ৩০০ টাকা হতে পারে না। অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের ভাড়াও তিন হাজার ৮০০ থেকে ৫ হাজারও হতে পারে। তাই বলে, ১০ হাজার হতে পারে না। এটা যাত্রী হয়রানির অংশবিশেষ। এটা নিরসনে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ওসমানী বিমানবন্দরে এপ্রোচিংয়ে সমস্যা রয়েছে। এক যাত্রীর লাগেজ কাটার অভিযোগ পেয়েছিলাম। তবে তিনি প্রতিকার পাননি। তাছাড়া একজন বিমানযাত্রীকে কেন প্রশ্নবাণে করে জর্জরিত করা হবে?

এছাড়া উপস্থিত সাংবাদিক ও যাত্রীদের অনেকে বলেন, বিমানবন্দরের পার্কিংস্থলে যাত্রীদের নিয়ে টানাহেঁচড়া, এমনকি অনেকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

অভিযোগগুলো শুনার পর বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদ বলেন, বিমানবন্দরে বিভিন্ন সমস্যা ছিলো। আনসারদের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ছিল। তবে এসব এখন নেই। তাছাড়া বিমান ল্যান্ডিং থেকে বেল্টের যে দূরত্ব সেখানে লাগেজ কাটার মতো সুযোগ নেই। পাশাপাশি মালামাল যখন বেল্টে আসে, তখন এপিবিএন সদস্যরা গুরুত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। সেই সঙ্গে গোয়েন্দা তদারকিও করা হয়।

অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলোতে টিকিটের বেশি দাম আদায়ের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা সংশ্লিষ্টদের কাছে লিখিতভাবে জানাবো, যাতে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেন। 

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর