৭ জানুয়ারি, ২০২৩ ০৭:০৮

বিশ্বনাথে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের

বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি

বিশ্বনাথে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের

ছবি- বাংলাদেশ প্রতিদিন।

সিলেটের বিশ্বনাথে এবার চলতি বোরো মৌসুমেও ধানের চারা রোপন করা হচ্ছে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার (চারা রোপণ যন্ত্র) দিয়ে। সময় ও অর্থ সাশ্রয় হওয়ায় চারা রোপণে এ যন্ত্র ব্যবহারে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। উপজেলার কৃষকরা মেশিনের মাধ্যমে রোপণ করছেন ব্রি-ধান ২৯ ও ৮৯ জাতের চারা।

সরেজমিন উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের কাশিমপুর গ্রামের বিলবন হাওরে গিয়ে দেখা যায়, এ হাওরে প্রথমবারের মতো রাইস ট্রান্সপ্লান্টার দিয়ে বোরো জমিতে রোপণ করা হচ্ছে চারা। গ্রামের কৃষক মো. আবদুর রাজ্জাকের বোরো জমিতে যৌথ ভাবে চারা রোপণ করছিলেন উপজেলার সফল চাষী মো. লুৎফুর রহমান ও বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার জয়ী কৃষক জাবের হোসেন। জমির পার্শ্ববর্তী বীজতলা থেকে রোল আকৃতির করে তুলে আনা হচ্ছে চারা’র ট্রে। পরে মেশিনে সারিবব্ধ ভাবে চারা সাজিয়ে সোজা লাইনে লাগানো হয় জমিতে।খুব দ্রুত অল্প সময়ে রোপণ করা হয় ৬ বিঘা জমি।

কৃষক আবদুর রাজ্জাক জানান, এই হাওরে প্রথম তিনিই রাইস ট্রান্সপ্লান্টার দিয়ে ১০ বিঘা জমিতে চারা রোপণ করছেন। এজন্যে গেল ডিসেম্বরের ১০ তারিখ বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ট্রে-তে চারা উৎপাদন করেন। ২৭ দিনে মধ্যে রোপণের উপযোগী হয় চারা। পরে চারা উঠিয়ে মেশিনের মাধ্যমে রোপণ করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় বিলবন হাওরে তিনিই প্রথম মেশিন দিয়ে ধানের চারা লাগান।

চাষি লুৎফুর রহমান বলেন, চারা রোপণে যন্ত্রটি ব্যবহার করলে রোপণ খরচ ৫০-৭৫ ভাগ কমানো সম্ভব। মেশিনে চারা রোপণ করণে লাইন সোজা হয়। পরে আগাছা নিংড়ানো, সার ও কীটনাশক ছিটানো যায় সহজে। নির্বিঘ্নে কাটা যায় ধানও।

এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায়, রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিনের সাহায্যে মৌসুম ভেদে ১৬-২০ দিন বয়সে চারা সঠিক দূরত্বে রোপণ করা হয়। এটার সাহায্যে ধান রোপণ করলে বীজের পরিমান, রোপণ সময় ও স্বল্প খরচ লাগে। এক ঘন্টায় প্রায় এক বিঘা জমিতে ধান রোপণ করা যায়। উৎপাদন বেশি হবার পাশাপাশি সব দিক থেকেই লাভবান হন চাষিরা।


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর