৭ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৭:৪০

সংঘর্ষে আহত সিকৃবি ছাত্রলীগকর্মীর চোখে অস্ত্রোপচার

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সংঘর্ষে আহত সিকৃবি ছাত্রলীগকর্মীর চোখে অস্ত্রোপচার

ফাইল ছবি

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত এক শিক্ষার্থীকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে ঢাকাস্থ জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটে তার চোখে অস্ত্রোপচার করা হয়। ওমর ফারুক নামে ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী। শুক্রবার সংঘর্ষ চলাকালে একটি ইটের টুকরো তার চোখে এসে পড়ে। এতে তার চোখের মণি ফেটে যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মনিরুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের সময় ইটের টুকরো ওমর ফারুকের চোখে এসে পড়লে সে গুরুতর আহত হয়। প্রথমে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাতেই তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। শনিবার দুপুরে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটে তার চোখে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। এখন সে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে আছে।

প্রক্টর আরও বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সংঘর্ষের কারণ খুঁজে বের করা হবে এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বর্তমানে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত ইসলাম জানান, আংশিক কমিটি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কার্যক্রম চলছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বৈরতান্ত্রিক পন্থায় সংগঠন চালানোর চেষ্টা করছেন। কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার জন্য তাদের সাথে কয়েকবার বসা হয়েছে। কিন্তু তারা সবার দাবি উপেক্ষা করে কমিটি পূর্ণাঙ্গ না করে অগঠনতান্ত্রিকভাবে অনুষদীয় কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার কর্মী সভায় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা বাধা দিলে অপ্রীতিকর ঘটনার জন্ম নেয়।

অপরদিকে, সিকৃবি ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমান জানান, যারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কার্যক্রম গতিশীল দেখতে চায় না, তারাই শুক্রবার হামলা চালিয়েছে।

শাহপরাণ থানার ওসি সৈয়দ আনিসুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগের কোনো পক্ষই থানায় কোনো অভিযোগ দেয়নি।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সিকৃবি ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মো. এমাদুল হোসাইন এবং তাদের অনুসারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে কৃষি অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ ছাত্রলীগের কর্মীসভা আহ্বান করেন। এতে বাধা দেন সহ-সভাপতি শরীফ হোসাইন, সাব্বির মোল্লা ও সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান হোসাইন ও তাদের অনুসারীরা। একপর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ছয়জন আহত হন।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর