২১ এপ্রিল, ২০২৩ ০৩:৪০

পরকীয়া প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে খুন করেন স্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

পরকীয়া প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে খুন করেন স্ত্রী

প্রতীকী ছবি

সিলেটের পর্যটন এলাকা জাফলংয়ে পর্যটক খুনের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যার ঘটনায় নিহতের স্ত্রীসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরকীয়া প্রেমিক ও তার সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে খুন করেন নিহতের স্ত্রী। পরে লাশ রিসোর্টের নিচে পাথর চাপা দিয়ে ফেলে রেখে গা ঢাকা দিয়েছিলেন হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা।

বৃহস্পতিবার নিহত আলে ইমরানের স্ত্রী খোশনাহার ও তার প্রেমিকের বন্ধু নাদিম আহমেদ নাঈমকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি দু’জনকে শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করার কথা রয়েছে।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন-কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলি থানার গুরই গ্রামের আবদুল জব্বারের ছেলে নিহত পর্যটক আলে ইমরানের স্ত্রী খোশনাহার ও তার পরকীয়া প্রেমিক মাহিদুল হাসান মাহিন, তার সহযোগী নাদিম আহমেদ নাঈম ও রাকিব আহমেদ।

বৃহস্পতিবার প্রেস ব্রিফিংয়ে সিলেটের পুলিশ সুপার মো. আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, গত ১৫ এপ্রিল রাতে সিলেটে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে রওনা দেন খোশনাহার ও আলে ইমরান। একই রাতে খোশনাহারের প্রেমিক মাহিন তার দুই সহযোগী নাদিম ও রাকিবকে সাথে নিয়ে সিলেটের উদ্দেশে রওনা হন। পরদিন সিলেটের জাফলংয়ের রিভারভিউ রিসোর্টে ওঠেন খোশনাহার ও তার স্বামী ইমরান। পাশের আরেকটি হোটেলে ওঠেন মাহিন, নাদিম ও রাকিব।

রাতে হোটেলের সিসি টিভি ক্যামেরা ঘুরিয়ে দিয়ে মাথা ব্যথার ওষুধ বলে আলে ইমরানকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেন খোশনাহার। ইমরান অচেতন হয়ে পড়লে প্রেমিক মাহিন ও তার সহযোগীদের রিসোর্টে ডেকে আনেন খোশনাহার। এরপর তারা ইমরানকে শ্বাসরুদ্ধ করে খুন করে লাশ রিসোর্টের নিচে পাথর চাপা দিয়ে রেখে পালিয়ে যান। পরদিন ১৭ এপ্রিল স্থানীয় লোকজন লাশ দেখে পুলিশে খবর দেন।

পুলিশ সুপার জানান, বুধবার মাহিনের সহযোগী নাদিমকে তার নিজ বাড়ি ও খোশনাহারকে ঢাকার বসুন্ধরা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। আর বৃহস্পতিবার মাহিন ও রাকিবকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, গত ৫ বছর ধরে খোশনাহার পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠানের জিএম মাহিনের সাথে তার পরকীয়া সম্পর্ক চলছিল। পথের কাটা হিসেবে তারা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

সর্বশেষ খবর