১২ আগস্ট, ২০২৩ ১৭:০৩
বাদী ও সাক্ষীকে হুমকির অভিযোগ

৫ বছরেও শেষ হয়নি ছাত্রদল নেতা রাজু হত্যার বিচার

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

৫ বছরেও শেষ হয়নি ছাত্রদল নেতা রাজু হত্যার বিচার

ফয়জুল হক রাজু

পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি সিলেট মহানগর ছাত্রদল নেতা ফয়জুল হক রাজু হত্যা মামলার বিচার। এখন পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে মাত্র ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ। 

বাদীর অভিযোগ, আসামি পক্ষ নানা টালবাহনায় মামলার বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার চেষ্টা করেছে। আদালত চত্বরে প্রকাশ্যে বাদীকে হত্যার হুমকি দিয়েছে আসামিরা। এছাড়া সাক্ষীদেরও হুমকি দিয়ে দেখানো হচ্ছে ভয়ভীতি। 

এই অবস্থায় বাদী নিহত রাজুর চাচা দবির আলী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। গতকাল শুক্রবার (১১ আগস্ট) রাজু হত্যাকাণ্ডের পাঁচ বছর পার হয়েছে। 

২০১৮ সালের ১১ আগস্ট নগরীর কুমারপাড়ায় নিজ দলের ক্যাডাররা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে খুন করে সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-প্রচার সম্পাদক ও সিলেট আইন মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র ফয়জুল হক রাজুকে। 

মামলার বাদী নিহতের চাচা মো. দবির আলী জানান, বিচার শুরুর পর আসামিপক্ষ নানা অজুহাতে প্রায় এক বছর সময় নষ্ট করেছে। বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। 

আদালত সূত্র জানায়, গত বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি মামলার বাদী দবির আলীকে দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এছাড়া ওই বছর আরও ৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি ও ১২ জুন আরও দুইজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এর আগে ২০২১ সালের ২৫ মার্চ মামলার ২৬ আসামির মধ্যে ২১ জনের উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর ওই বছরের ২২ এপ্রিল সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য্য করা হয়। কিন্তু আসামিপক্ষ নানা অজুহাতে ৭ বার সময় চেয়ে দফায় দফায় সাক্ষ্যগ্রহণ বিলম্বিত করে বলে অভিযোগ করেন বাদী।

এদিকে, মামলার সর্বশেষ সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয় গত ১২ জুন। শেখ মঈন উদ্দিন নামে ওই সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন আদালতে মামলার বাদী দবির আলীও উপস্থিত ছিলেন। ওইদিন সাক্ষ্যগ্রহণের পর আদালত চত্বরে মামলার আসামি এনামুল হক, একরামুল হক ও শেখ মো. নয়ন মিয়া বাদীকে হত্যার হুমকি দেয়। তাৎক্ষণিক ঘটনাটি বাদী আদালতকে অবহিত করেন এবং থানা জিডি করেন। বর্তমানে ওই মামলার ৮ আসামি পলাতক রয়েছেন। 

মামলার বাদী দবির আলী জানান, বর্তমানে আদালতের কার্যক্রমে তিনি সন্তুষ্ট। কিন্তু এর আগে আসামি পক্ষ টালবাহনা করে মামলার গতি স্থবির করে রেখেছিল। তবে মামলার আসামিরা তাকে ও সাক্ষীদের প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে। এতে তিনি ও সাক্ষীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১১ আগস্ট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বিজয়ী হন বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। সন্ধ্যা বিজয় মিছিল নিয়ে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা আরিফুল হকের কুমারপাড়াস্থ বাসায় যান। ফেরার পথে অভ্যন্তরিণ দ্বন্দ্বের জের ধরে কুমারপাড়া পয়েন্টে নিজ দলের ক্যাডাররা কুপিয়ে খুন করে রাজুকে। নিহত রাজুর শরীরে ৪০টির বেশি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। 

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

সর্বশেষ খবর