১৯ আগস্ট, ২০২৩ ১৬:২৮

সিলেটে ডিমের দাম কমছে সবজি ও মাছ চড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটে ডিমের দাম কমছে সবজি ও মাছ চড়া

সিলেটে গত সপ্তাহে ডিমের বাজারে অস্থিরতা থাকলেও চলতি সপ্তাহে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে ডিমের বাজারে। ফার্মের মুরগির ডিম কিছুটা কমে ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়। এক সপ্তাহ ব্যবধানে মুরগির ডিমের দাম ডজনে কমেছে সর্বোচ্চ ২০ টাকা। যদিও অস্বস্তি বিরাজ করছে মাছ ও সবজির বাজারে। এ সপ্তাহে ৬০ টাকার কমে বাজারে কোনো সবজি মিলছে না। 

অন্যদিকে ৩৫০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো মাছ। কম দামি হিসেবে পরিচিত পাঙাশের কেজি এখন ২৫০ টাকা।

শনিবার সিলেটের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি শাক-সবজির দাম বেড়েছে ১৫-২০ টাকা পর্যন্ত। পেঁয়াজ, রসুন, ডিম, টমেটো, আলু, কাঁচা মরিচ ও মাছ ডিম রের্কড দামে বিক্রি হলেও দাম কমেছে ব্রয়লার মুরগি, আদা, চিনি ও সয়াবিন তেলের দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে কমেছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকায় বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি ভারতীয় আদার দাম কমেছে ৫০ টাকা। আর চিনি ও সয়াবিন তেলের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা করে কমেছে।

এক কেজি ভারতীয় পিয়াজ ৫০ টাকা, দেশি পিয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকা, আদা ২২০ টাকা, রসুন গত সপ্তাহে ২২০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা ২২০ টাকার মধ্যে, আলু ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মসুর (মোটা) ডালের কেজি ১০০ টাকা, মসুর (চিকন) ডাল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, মুগ ডাল ১৩০ টাকা। দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১৫৬ টাকা, দুই কেজি আটার প্যাকেট ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে চালের বাজারে নতুন করে বাড়েনি দাম।

এদিকে, দীর্ঘদিন ধরে কাটছে না চিনির সংকট। দোকানিরা ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে চিনি বিক্রি করছেন। এছাড়া মাছের এ ভরা মৌসুমেও বাজার চড়া। এক কেজি রুই বিক্রি হচ্ছে রেকর্ড ৪৫০ টাকা কেজি দরে। যা গত সপ্তাহেও ৩৭০-৩৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গরুর মাংস ৭৫০-৭৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খাসির মাংস ৯৫০-১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি বড় চিংড়ি মাছ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা দরে। এছাড়া ছোট সাইজের চিংড়ি ৭০০-৭৫০ এবং দেশি ট্যাংরা ৬০০-৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে প্রতি কেজি টমেটো ২৮০ থেকে ৩৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২৫০ টাকা, সিম ২৬০ টাকা, করল্লা ১০০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ৯০ টাকা, মূলা ৫০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, কচুমুখী ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ধনেপাতা ২০০ টাকা। মিষ্টি কুমড়া (কাটা পিস) ৩০ টাকা, একটি লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চাল কুমড়ার জালি ৫০ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা ও কাঁচাকলার হালি ৪০ টাকা। সস্তার সবজি হিসেবে পরিচিত পেঁপের কেজিও ৩৫ থেকে ৪০ টাকা আর শাক ২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতারা বলছেন, বাজারে প্রতিটা জিনিসের দাম চড়া। কাঁচা বাজারে শাকসবজির সরবরাহ কিছুটা কম। গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে সবধরনের শাকসবজির দাম দাম একটু বেড়েছে। এমন চলতে থাকলে বেচে থাকা কষ্টকর হয়েযাবে।

আর বিক্রেতারা বলছেন, গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে সকল জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। বাজারগুলোতে পণ্য সরবরাহ কম। তাতে সবজি ও মাছের দাম বেশ বেড়ে গেছে। পণ্যের সরবরাহ বাড়লে দাম কমবে।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

সর্বশেষ খবর