১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৫:২৩

এক জেলায় থেকেও বাবা-মেয়ের দেখা হয়নি ২৪ বছর

অনলাইন ডেস্ক

এক জেলায় থেকেও বাবা-মেয়ের দেখা হয়নি ২৪ বছর

বাবা মো. আলমগীর হোসেন ও মেয়ে মোছা. তানিয়া আক্তার। সংগৃহীত ছবি

২৪ বছর পর বাবাকে খোঁজে পেলেন মেয়ে। যদিও তার বাবা এক জেলাতেই ছিলেন। তবে মেয়ে জানতেনই না যে, তার বাবা জীবিত আছেন। অবশেষে একটি ফেসবুক পেজের মাধ্যমে বাবার সন্ধান পেলেন তিনি। মেয়ের নাম মোছা. তানিয়া আক্তার (২৪)। তার বাবার নাম মো. আলমগীর হোসেন। 

জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার বাবা-মেয়ের এই দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়েছেন ‘ভবঘুরে’ নামে ফেসবুক পেজের অ্যাডমিন ইকবাল আহমেদ। পরে দুই ঘণ্টার আলাপচারিতায় তারা গোটা জীবন ধরে জমানো অজস্র কথা বলেন একে অন্যকে।

এদিন দুপুরে তানিয়া ও তার বাবা আলমগীর হোসেনের দেখা হয় হবিগঞ্জ শহরের কালিবাড়ি রোডে সৌদিয়া রেস্তোরাঁয়। ‘ভবঘুরের’ অ্যাডমিন ইকবাল আহমেদ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

তানিয়ার বাবা আলমগীর হোসেন হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার দত্তপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। আর তানিয়ার ২৪ বছর কেটেছে পার্শ্ববর্তী মাধবপুর উপজেলার খান্দুরা গ্রামে তার নানাবাড়িতে।

মেয়েটির জন্মের অল্পদিন পরেই তার বাবা আলমগীর হোসেন ও মা আফরোজা বেগমের বিচ্ছেদ হয়। এরপর দুজন নতুন সংসারে গেলে তানিয়া বেড়ে ওঠেন তার নানা মাজুম খানের তত্ত্বাবধানে।

তানিয়া সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বাবা-মা আলাদা হওয়ার পর মায়ের সঙ্গে প্রায়ই দেখা হত। কিন্তু বাবা জীবিত আছেন কি না তা জানতে পারিনি নিয়মের যাঁতাকলে পড়ে। নিজের মতো করে বাবাকে খুঁজেছি হন্যে হয়ে। কিন্তু পাইনি।’

তানিয়া আরও বলেন, “দুই সপ্তাহ আগে ‘ভবঘুরে’ পেজের ইকবাল আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং বাবার যানবাহনে বিনামূল্যে আরোহনের একটি পরিচয়পত্র তাকে দিই। সেই সূত্র থেকে ওই ভাইটি আমার বাবার সন্ধান বের করে দিয়েছেন।”

এখন থেকে বাবার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবেন কি না জানতে চাইলে তানিয়া বলেন, ‘আমার স্বামী ও দুই সন্তান রয়েছেন। স্বামীর অনুমতি নিয়ে বাবার সঙ্গে দেখা করেছি। আগামীতেও স্বামীর সঙ্গে কথা বলে তারপর সিদ্ধান্ত নেব। ’

 নানার সহযোগিতায় দাখিল পাস করা তানিয়া তার নানা ও স্বামীর প্রতি কৃতজ্ঞ।

‘ভবঘুরে’ পেজের এডমিন ইকবাল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘রেস্তোরাঁর কেবিনে বাবা-মেয়ে দুই ঘণ্টা সময় ধরে আলাপচারিতায় মগ্ন ছিলেন। তারা সেখানে খাওয়া-দাওয়া করেছেন। বারবার কেঁদে একে অন্যের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। পরে তানিয়া মাধবপুর উপজেলায় তার স্বামীর বাড়ি ও আলমগীর হোসেন তার নিজের বাড়ি চলে যান।’

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর