১৬ নভেম্বর, ২০২৩ ২২:০২

সিলেটে দোকান কর্মচারী খুনে দু’জনের যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটে দোকান কর্মচারী খুনে দু’জনের যাবজ্জীবন

প্রতীকী ছবি

সিলেটে মুদি দোকানের কর্মচারীকে খুনের মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আসামিদের বয়স কম হওয়ায় মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে তাদেরকে যাবজ্জীবন দেওয়া হয়। আসামিরা পরিণত বয়সে নিজেদের ভুল বুঝতে পারবে এবং কারাভোগের পর স্বাভাবিক জীবন যাপনে ফিরবে বলে মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেছেন বিচারক। 

বৃহস্পতিবার সিলেটের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন। 

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা থানার ভোলারকান্দি গ্রামের মৃত মদছির আলীর ছেলে শাকিল (২০) ও মিয়াধন মিয়ার ছেলে সুমন আহমেদ (২২)। মামলায় ১৯ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন। মামলার অপর তিন আসামি হত্যাকাণ্ডের সময় শিশু থাকায় তাদের বিরুদ্ধে আদালতে দোষীপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শিশু আদালতে (মামলা নং ১৫৭/২৩ ) তাদের বিচারিক কার্যক্রম বর্তমানে শুরুর পর্যায়ে রয়েছে।

মামলার বরাত দিয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী দেবব্রত চৌধুরী লিটন জানান, ফেঞ্চুগঞ্জের ঋষিকেশ দে এর মুদির দোকানে কর্মচারীর চাকরি করতো সজল বিশ্বাস পটল। এলাকার ৩ শিশু প্রায়ই দোকান থেকে বাকিতে মালপত্র কিনতো। পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে সজলের সাথে তাদের মনমালিন্য হয়। এর জের ধরে গত বছরের ২০ জুলাই রাতে এলাকায় বেড়াতে আসা শাকিল ও সুমনকে সাথে নিয়ে ওই তিন শিশু সজলকে হত্যার পরিকল্পনা করে। রাতে মালিকের বাসা থেকে খাবার খেয়ে সজল দোকানে ফিরলে পাঁচজন মিলে গলায় গামছা প্যাঁচিয়ে সজলকে হত্যা করে তারা। পরদিন ভোররাতে পুলিশ স্থানীয় ঘিলাছড়া আশ্রয়ন প্রকল্প থেকে শাকিল ও সুমনসহ ৪ জনকে আটক করে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ঋষিকেশ দে বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। 

মামলার রায় দেওয়ার সময় আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘প্রসিকিউশন পক্ষ সর্বোত্তভাবে অভিযোগ প্রমাণে সক্ষম হয়েছেন। মামলার আসামিদের বয়স যেহেতু কম সেকারণে তাদেরকে মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে সংশোধনের সুযোগ হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। একটা সময় আসামিরা নিজেদের অল্প বয়সের ভুল বুঝতে পেরে কারাগারে শাস্তি ভোগ শেষে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবে।’

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

সর্বশেষ খবর