১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২০:২২

আত্মহত্যা চেষ্টার পর জানা গেল তিনি আরেকজনের হত্যাকারী!

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

আত্মহত্যা চেষ্টার পর
জানা গেল তিনি আরেকজনের হত্যাকারী!

সিলেটে পেটে ছুরিকাঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন ব্যাটারিচালিত রিকশার এক চালক। আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তির পর জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। অপর এক অটো রিকশাচালককে খুন করে তিনি লাশ খন্ডবিখন্ড করে ফেলে এসেছেন। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর এমসি কলেজের পার্শ্ববর্তী একটি ছড়া থেকে রণজিত দাস (৫৮) নামে অটো চালকের বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করে। রণজিত দাস নগরীর দুসকি এলাকার বাসিন্দা। গত শুক্রবার থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। আটক অপর অটোচালক মালেক মিয়া (৪০) নগরের বাদামবাগিচা এলাকার বাসিন্দা। 

জানা গেছে, গত শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন রণজিত দাস। নিখোঁজের ঘটনায় তার ছেলে শুক্রবার জালালাবাদ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারে মোবাইল ফোনে রণজিত দাশের সর্বশেষ কথা হয়েছে অপর অটোচালক মালেক মিয়ার সাথে। এছাড়া সর্বশেষ তাদের দু’জনকে একসাথে দেখা গেছে। কিন্তু প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মালেক মিয়ার কাছ থেকে কোনো তথ্য উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

গত মঙ্গলবার টুকেরবাজার এলাকা থেকে মালেক মিয়াকে ছুরিকাহত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। তার কাছে পাওয়া একটি চিরকুটে লেখা ছিল ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’। পুলিশের ধারণা তিনি পেটে ছুরিকাঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। মালেক মিয়াকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজে ভর্তির পর জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এ সময় মালেক মিয়া জানায়, তিনি রণজিত দাসকে খুন করে লাশ টুকরো টুকরো করে দুটি বস্তায় ভরে নগরীর টিলাগড়ে এমসি কলেজ সংলগ্ন একটি ছড়ায় ফেলে দিয়েছেন। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ীম মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ রণজিত দাসের বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করে।   

সিলেটের শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য জানান, আগের দ্বন্দ্বের জেরে রণজিৎ দাসকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত একজনকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আটক করা হয়েছে। কমপক্ষে তিন দিন আগে হত্যার পর বস্তায় ভরে লাশ ফেলা দেওয়া হয়। ঘটনাটি তদন্ত করছে পুলিশ।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল

 

সর্বশেষ খবর