৮ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৬:১৪

হবিগঞ্জে জাপার এমপি প্রার্থীসহ জামানত হারাচ্ছেন ২৪ জন

অনলাইন ডেস্ক

হবিগঞ্জে জাপার এমপি প্রার্থীসহ জামানত হারাচ্ছেন ২৪ জন

প্রতীকী ছবি

শান্তিপূর্ণ ও উৎসব মুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে হবিগঞ্জের ৪টি সংসদীয় আসন থেকে অংশগ্রহণ করেন মোট ৩১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে হবিগঞ্জ-৩ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেয়া জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী আব্দুল মুমিন চৌধুরী বুলবুলসহ মোট ২৪ জন প্রার্থী তাদের জামানত হারাচ্ছেন। নিয়ম অনুযায়ী মোট প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ অর্থাৎ যারা সাড়ে ১২ শতাংশের কম ভোট পেয়েছেন তারা জামানত হারাবেন।

হবিগঞ্জ-১ আসন থেকে জামানত হারাতে যাওয়া প্রার্থীরা হলেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী মোহাম্মদ শাহেদ। তিনি ট্রাক প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩১৯ ভোট। ইসলামি ঐক্যজোট বাংলাদেশের মোস্তাক আহমেদ ফারহানী। তিনি মিনার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩১৭ ভোট। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মো. নুরুল হক। তিনি গামছা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২১৩ ভোট। আসনটি থেকে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী। তিনি ঈগল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭৫০৫২ ভোট। সর্বমোট প্রদত্ত ভোট ১০৭৭৯৭। শতকরা হার ২৪.৯৯।

হবিগঞ্জ-২ আসন থেকে জামানত হারাতে যাওয়া প্রার্থীরা হলেন- জাতীয় পার্টির প্রার্থী শংকর পাল। তিনি লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৫৩ ভোট। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মনমোহন দেবনাথ। তিনি গামছা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৪ ভোট। ইসলামী ঐক্যজোটের শেখ হিফজুর রহমান। তিনি মিনার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪২১ ভোট। তৃণমূল বিএনপির খাইরুল আলম। তিনি সোনালী আশঁ নিয়ে পেয়েছেন ৩০৯ ভোট।  বিএনএম এর এসএএম সোহাগ। তিনি নোঙ্গর প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৭২ ভোট। ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশর মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ। তিনি চেয়ার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৪১ ভোট। বাংলাদেশ কংগ্রেসের জিয়াউর রশিদ। তিনি ডাব প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৭০ ভোট। আসনটি থেকে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯৯৯৪৩ ভোট। মোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ১৫২৪৩৬। শতকরা হার ৪১.৩৯।

হবিগঞ্জ-৩ আসন থেকে জামানত হারাতে যাওয়া প্রার্থীরা হলেন- জাতীয় পার্টির দলীয় প্রার্থী এমএ মুমিন চৌধুরী বুলবুল। তিনি লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪০৭৬ ভোট। বিএনএম এর প্রার্থী বদরুল আলম সিদ্দিকী। তিনি নোঙ্গর প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৫২ ভোট। বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের আদম আলী। তিনি ফুলের মালা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৮৪ ভোট। ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আব্দুল কাদির। তিনি আম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৮৫ ভোট। জাকের পার্টির আনসারুল হক।  তিনি গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮৮৫ ভোট। ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের আবদুল ওয়াহেদ। তিনি চেয়ার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৪৪ ভোট। বাংলাদেশ কংগ্রেসের নোমান হাসান। তিনি ডাব প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২১২ ভোট। মুক্তিজোট (জেডিপি) এর শাহিনুর রহমান ছড়ি প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ১৫১ ভোট। আর ১৬০৬০৫ ভোট পেয়ে (নৌকা মার্কা) বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আবু জাহির। মোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ১৬৯৪১২। শতকরা হার ৪৩.৪৭।

হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে জামানত হারাতে যাওয়া প্রার্থীরা হলেন- জাতীয় পার্টির প্রার্থী আহাদ উদ্দিন চৌধুরী। তিনি লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪১৭ ভোট। বাংলাদেশ কংগ্রেসের আল আমিন। তিনি ডাব প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৪০ ভোট। ইসলামি ঐক্যজোট বাংলাদেশের আবু ছালেহ। তিনি মিনার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৭৩ ভোট। বিএনএম এর মুখলেছুর রহমান। তিনি নোঙ্গর প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৯৩ ভোট। ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের আব্দুল মুমিন। তিনি চেয়ার প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩৭ ভোট। বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক ঐকজোটের রাশেদুল ইসলাম খোকন ছড়ি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৬৭ ভোট। আর এ আসনটি থেকে ১৬৯০৯৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সুমন। মোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ২৪৩৪৩৭। শতকরা হার ৪৭.৫২।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

সর্বশেষ খবর